মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জে সৌদি প্রবাসী স্বামীর দেয়া স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ নিয়ে পরকিয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরকিয়া প্রেমিক আনাস মাহমুদ রাতুলসহ ওই তরুণীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গত রবিবার ভোরে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর ওইদিনই তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তরুণীকে সেফ কাস্টডিতে এবং পরকীয়া প্রেমিক রাতুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে সৌদি প্রবাসী সাইফুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিয়ে হয় ওই তরুণীর। স্বামী সাইফুল ইসলাম প্রবাসে থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আনাস মাহমুদ রাতুল নামে এক যুবকের সঙ্গে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে ওই তরুণী। এরই জের ধরে গত ৬ নভেম্বর প্রেমিক আনাস মাহমুদ রাতুলের সঙ্গে পালিয়ে যায় সে। পালানোর সময় শাশুড়ি ও স্বামীর বড় বোন সোনিয়া আক্তারের ছয় ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার ও ৫ ভরি ওজনের রুপার অলঙ্কারসহ পরিবারের এক সদস্যের চিকিৎসার জন্য জমানো পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়।
সাইফুল ইসলামের বোন সোনিয়া আক্তার দাবি করেন, সাইফুল ইসলামের বাড়িতে থাকাবস্থায় ওই তরুণী নিজের এনআইডি কার্ড ও পাসপোর্ট তৈরি করে। এরপর সে গহনা ও নগদ টাকা সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে। পরে গাজীপুরের এক আইনজীবির মাধ্যমে ব্যাকডেট দিয়ে ভুয়া এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ের নাটক সাজায়।
তিনি আরো জানান, পালিয়ে যাওয়ার পর সে তার স্বামী সাইফুল ইসলামের মুঠোফোনে কল দিয়ে বলে তোমার মা-বোনের টাকা ও অলঙ্কার নিয়ে গেলাম, যা পারো করো। এরপর টাকা ও অলঙ্কারের ছবি তুলে তার স্বামীর পাঠায়।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তরুণী ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



