জুমবাংলা ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক প্রবাসীর বাড়িতে দিন-দুপুরে ডাকাতির ঘটনার নেপথ্যের কারণ উদঘাটন করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে শহরের কাউতলী এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী দিদার আলমকে (২৫) তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করার পর পুলিশ ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে। গ্রেফতারের পর দিদার এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। প্রবাসী রফিকুল ইসলামের স্ত্রীর চাচাত ভাই সে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডাকাতির সময় ব্যাটারি দিয়ে ‘সহায়তা করা’ এক শিশুর দেওয়া জবানবন্দির সূত্র ধরে পুলিশ এ ঘটনার নেপথ্যের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। পরে পুলিশ ঘটনার মূল হোতা প্রবাসীর শ্যালক দিদার আলমকে গ্রেফতার করে।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত দিদারের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে দিদারের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে বলে পুলিশ আশা করছে।
গত ৯ ডিসেম্বর দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত শহরের কাউতলীর নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামের পাশ ঘেঁষে সৌদিপ্রবাসী মো. রফিকুল ইসলামের ‘ড্রিম হাউজ’ নামে বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ২২ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৫০ হাজার টাকা, চার লাখ টাকা মূল্যের একটি হাতঘড়ি নিয়ে যায়। দিন দুপুরে জনবহুল এলাকায় এমন ঘটনায় আতঙ্ক দেখা দেয়।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মো. রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া খানম জানান, ছয়তলা বিশিষ্ট ওই বাড়িটির তিন তলায় তারা বসবাস করেন। বেলা আড়াইটার দিকে ফাইল নিয়ে দুই জন এসে দরজার নক করেন। গৃহকর্মী দরজা খোলে দিলে ওই দু’জন বলেন তারা গ্যাসের লাইন চেক করতে এসেছেন। একপর্যায়ে আরো ছয়জন ঘরে প্রবেশ করে সবাইকে একটি কক্ষে নিয়ে জিম্মি করে ফেলেন। ঘরে প্রবেশ করা আটজনের হাতেই ধারালো অস্ত্র ছিলো।
তিনি আরো বলেন, ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে তারা ছেলে-মেয়েকে হত্যা করে ফেলবে হুমকি দিয়ে সবকিছু দিয়ে দিতে বলে। স্বর্ণের লকার খুলতে পারছিলেন না বলে বারবার হত্যার হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে তারা ফোন করে লকারের জন্য ব্যাটারি আনায়। তাদের ফোনে ছোট একটি ছেলে ব্যাটারি দিয়ে যায়। এরপর পিনকোড দিয়ে লকার খোলার পর সেখান থেকে তারা ২২ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এছাড়া আলমারি থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও একটি রোলেক্স ঘড়ি নিয়ে যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) মো. ইশতিয়াক আহমেদ জানান, প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ব্যাটারি নিয়ে আসা শিশুটিকে শনাক্ত করা হয়। ওই শিশুটি প্রবাসীর স্ত্রী রাবেয়া খানমের চাচাতো ভাই ও কাউতলী এলাকার দিদারের দোকানের কর্মচারি। দিদারের কাছে ফোন করে ব্যাটারি আনায় ডাকাতদল। মূলত দিদার ওই বাড়িতে নিয়মিত যাওয়া-আসার সুবাদে স্বর্ণালংকারের কথা জানতেন। পরিকল্পনা মতো সে ‘ভাড়া করা’ লোক এনে চাচাতো বোনের বাড়িতে ডাকাতি করায়। রিমান্ডে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।