জুমবাংলা ডেস্ক : এসএসসি পরীক্ষা আর দেয়া হলো না নীলফামারীর তৃষ্ণা রানী রায়ের। প্রবেশপত্রে ভুল থাকায় শরণাপন্ন হন প্রধান শিক্ষকের। তবে কোন সুরাহা না পেয়ে বেছে নেন আত্মহত্যার পথ। এমন ভুলের কারণে সন্তান হারানো মেনেও নিতে পারছেন না স্বজনরা। এ দায় নিতে নারাজ প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম। এদিকে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পরীক্ষার আগের দিন কেন পরীক্ষার্থীকে প্রবেশ নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে। এর দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।
মা কোনভাবেই মানতে পারছেন না তার বুকের ধন আর ফিরবে না।
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার মহিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল তৃষ্ণা রানী রায়ের। কিন্তু বাণিজ্য বিভাগের এই শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে আসে মানবিক বিভাগ। কথা বলতে ছুটে যান প্রধান শিক্ষকের কাছে। সমাধান না পেয়ে বাড়ি ফিরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তৃষ্ণা।
কাঁটাছেড়ার ভয়ে থানায় অভিযোগ করেননি পরিবারের সদস্যরা। এমন ভুলে সন্তান হারানো মেনেও নিতে পারছেন না তারা।
ঘটনা পরিদর্শনে আসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। দায় নিতে নারাজ প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামও।
মহিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাচ্চাটাকে আমি বললাম তুমি আশাহত হইয়ো না প্রয়োজন হলে আমি নিজের টাকা কিংবা স্কুলের টাকা খরচ করে হলেও তোমার রেজিস্ট্রেনের বিষয়গুলো আমি সমাধান করে দিবো বোর্ড থেকে।
ডোমার থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার কারণে একটা ইউডি মামলা রুজু করা হয়েছে। ইউডি মামলার তদন্ত চলমান আছে।
স্থানীয়রা বলছেন, তৃষ্ণার অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও নিয়ম আছে, প্রবেশপত্রে ভুল থাকলে আবেদনের প্রেক্ষিতে সমাধান হবে ১৫ দিনের মধ্যে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।