আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের খাদ্যশষ্য রপ্তানির ব্যাপারে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তাকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর ভিত্তিহীন অভিযোগের অসারতার প্রমাণ বলে উল্লেখ করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তিনি বলেছেন, আমেরিকা ও তার পশ্চিমা মিত্ররা বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টির যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে তা অগ্রহণযোগ্য ও অমানবিক। খবর পার্সটুডে’র।
তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানির জন্য কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো খুলে দিতে একটি চুক্তিতে সই করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। শুক্রবার রাতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এ চুক্তি সম্পন্ন হয়। চুক্তির অধীনে ইউক্রেনের বৃহত্তম রপ্তানি বন্দর ওদেসাসহ তিনটি বন্দর উন্মুক্ত করা হবে।প্রাথমিকভাবে এ চুক্তির মেয়াদ ১২০ দিন যা উভয়পক্ষের সম্মতিতে নবায়ন করা যাবে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার রাতেই মস্কোয় এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বিশ্ব বাজারে খাদ্যশস্যের ঘাটতির জন্য পশ্চিমা দেশগুলো এতদিন ধরে রাশিয়াকে যে দোষারোপ করে আসছিল এ চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে তা মিথ্যা প্রমাণিত হলো। তিনি বলেন, বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাশিয়া তার প্রতিশ্রুতিতে অটল থাকবে।
চুক্তি বিনিময় করছেন সের্গেই শোইগু ও ওলেকসান্দার কুবরাকভ; উপবিষ্ট রয়েছেন মধ্যস্থতাকারী গুতেরেস ও এরদোগান
মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি প্রতিহত করতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর ফলে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে বিশ্ববাজারে খাদ্যশষ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।
রাশিয়া দ্রুততম সময়ে ইউক্রেনে নিজের লক্ষ্য অর্জন করে সামরিক অভিযান শেষ করতে চাইলেও মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর কারণে এ অভিযান দীর্ঘায়িত হয়েছে। পশ্চিমারা ইউক্রেন সংকটে সরাসরি হস্তক্ষেপ না করলেও কিয়েভকে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। রাশিয়া কিয়েভের প্রতি পাশ্চাত্যের এ সহযোগিতাকে যুদ্ধ বিলম্বিত হওয়ার প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।