বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তিগত বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কারণে এ বিপ্লব ঘটানো সম্ভব হচ্ছে। এ বিপ্লব কোন একক উদ্ভাবনের ফসল নয়। তিনটি মৌলিক ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য প্রযুক্তির আধিপত্য দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমটি হচ্ছে তথ্য সংগ্রহ ও প্রচারের মাধ্যম, দ্বিতীয়টি হচ্ছে যন্ত্রের মাধ্যমে উৎপাদনের উপায় ও তৃতীয়টি হচ্ছে উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপাদানের উপস্থিতি।
শক্তিশালী মাইক্রোপ্রসেসর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার, কার্যকরী সফটওয়্যার সিস্টেম, ডাটা সেন্টার এর মত বিষয় বর্তমান প্রযুক্তিগত বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করছে। কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে ক্লাউড সিস্টেম বর্তমানে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে।
উৎপাদনের নতুন উপাদান হিসেবে থ্রিডি প্রিন্টারের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রাফিন এবং কার্বন ন্যানোটিউব এর মত নতুন উপাদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিজ্ঞানের অগ্রগতির ক্ষেত্রে এসব উপাদান নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
সাম্প্রতিক সময় উদ্ভাবনের গতি ত্বরান্বিত হয়েছে। তবে এটা স্বীকার করতেই হবে যে, অনেক ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় নেয়। ১৯৫১ সালের চালু হওয়া প্রথম বাণিজ্যিক কম্পিউটারের প্রায় ২০ বছর পর পার্সোনাল কম্পিউটারের বিকাশ ঘটে।
বহনযোগ্য সেলুলার ফোন ডিজাইন শুরু হতে ২ দশকের বেশি সময় লেগে গিয়েছিল। স্বায়ত্তশাসিত ড্রোনের ধারণাটি প্রথম কল্পনা করা হয়েছিলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে। তবে সাধারণ উদ্দেশ্য নিয়ে একটি কার্যকরী ড্রোনের ডিজাইন তৈরি হতে প্রায় চার দশক সময় লেগে গিয়েছিল।
বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ড্রোনের ব্যবহার শুরু হতে আরো দুই দশক সময় বেশি লেগে যায়। ১৯৮৪ সালে থ্রিডি প্রিন্টিং আবিষ্কৃত হয়েছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মেশিন শিল্প এবং বাণিজ্যিক বাজারে আসতে আসতে ২০ বছর সময় লেগে যায়।
বৈদ্যুতিক গাড়ির বিকাশ একই পথ অনুসরণ করেছে। লিথিয়াম ব্যাটারি আবিষ্কারের প্রায় ২০ বছর পর টেসলা বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ করতে সক্ষম হয়। রাস্তায় এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে আরো ২০ বছর সময় লেগে যাবে।
তবে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিকাশ দ্রুত গতিতে ঘটেছিল। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে আরো দুই দশক সময় বেশি লেগে গিয়েছিল। বর্তমানে এরকম অনেক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ চলছে যা ভবিষ্যতে বিকাশ হতে অনেক বেশি সময় লাগতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।