বিশ্বের সবথেকে বৈচিত্রপূর্ণ টেক কম্পানি বলা যেতে পারে samsung কে। অবাক করে দেয়ার মত প্রযুক্তির উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে টেকনোলজির দুনিয়াকে পরিবর্তন এর মধ্যে দিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে samsung। samsung একটি মুক্তমনা প্রতিষ্ঠান।
দক্ষিণ কোরিয়া বাদেও বাইরের দুনিয়ার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে samsung। samsung এর প্রথম ইলেকট্রিক পণ্য ছিল একটি সাদা-কালো টেলিভিশন সেট। পরবর্তী সময়ে কম্পিউটারে নির্মাণ করা শুরু করে তারা। আস্তে আস্তে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি পরিচিতি পায়।
সর্বপ্রথম samsung লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে এর প্রযুক্তির বাস্তবায়ন ঘটাতে সক্ষম হয়েছিল। সারা বিশ্বে বিক্রি হওয়া প্রতি তিনটি স্মার্টফোনের একটি হচ্ছে স্যামসাং এর তৈরি। বইয়ের মত ভাঁজ করা যায় এরকম অসাধারণ ডিসপ্লে প্রযুক্তি সবার সামনে উন্মোচন করে স্যামসাং।
samsung galaxy z সিরিজের smartphone টেকনোলজির দুনিয়ায় অনেক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। সর্বশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার, আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং নতুন আইডিয়ার উদ্ভাবনের কারণে স্মার্টফোন জগতে স্যামসাংয়ের রাজত্ব এখনো চলছে।
টেক কোম্পানি হিসেবে স্যামসাংয়ের পরিচিতি থাকলেও বহুমুখী ব্যবসায় তারা সফলতা দেখিয়েছে। samsung এর নিজস্ব কেমিক্যাল কোম্পানি রয়েছে। জাহাজ শিল্পের সাথে তারা জড়িত। হোটেল ও রিসোর্ট এর ব্যবসা করছে তারা।
লাইফ ইন্সুরেন্স, ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি শাখায় তাদের অবদান রয়েছে। সর্বশেষ ২০ বছর ধরে যৌথ উদ্যোগে গাড়ি নির্মাণ করে আসছে স্যামসাং। বুর্জ খলিফা সহ বহু অট্টালিকা নির্মাণে samsung এর ভূমিকা রয়েছে।
সামরিক বিদ্যা এবং ওয়েপন টেকনোলজি নিয়ে স্যামসাংয়ের গবেষণা অসাধারণ ভূমিকা রাখছে। মিলিটারি ট্যাংক এবং জেট ইঞ্জিন তৈরিতে samsung কাজ করে যাচ্ছে।
তাদের তৈরি পোশাকের ব্র্যান্ড রয়েছে এবং পণ্যবাহী জাহাজ নির্মাণের তারা অনেক এগিয়ে আছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জিডিপির প্রায় ১৭ শতাংশ আসছে স্যামসাংয়ের কাছে থেকে। কাজেই প্রযুক্তির দুনিয়ার বাইরে বহুমুখী শিল্পী samsung একটি সফল কোম্পানির নাম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।