নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (বিডিইউ) উপাচার্য মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেছেন, বর্তমান বিশ্ব হচ্ছে প্রযুক্তির বিশ্ব। প্রযুক্তি বিশ্বে আমাদের এগিয়ে যেতে হলে প্রযুক্তি কেন্দ্রিক গবেষণায় মনোযোগ দিতে হবে।
গতকাল শনিবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আয়োজনে ‘মেশিন ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজিস’ শীর্ষক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য মোহাম্মদ আবু ইউসুফ এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমির মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। যদি আমরা ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমির মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তুলতে না পারি তাহলে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করা সম্ভব হবে না।
তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ গড়তে এ ধরনের কনফারেন্স তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, এই কনফারেন্সে একাডেমি এবং ইন্ডাস্ট্রির একটি সংযোগ রয়েছে, এখানে উভয় শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। মেশিন ইন্টেলিজেন্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডাটা সায়েন্স, সাইবার সিকিউরিটিসহ নতুন নতুন প্রযুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে এই কনফারেন্সে আলোচনা হয়েছে যা প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের প্রেরণা জোগাবে।
কনফারেন্সে কি-নোট স্পিকার ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অধ্যাপক ও গবেষক প্রফেসর নিকোলা কাসাবভ, প্রফেসর মোহাম্মদ স্লিম আলুইনি, প্রফেসর মো. আব্দুর রাজ্জাক, প্রফেসর সোজো ইনু, প্রফেসর মোহাম্মদ আলী মনি।
নোবিপ্রবির ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) ও পাঁচটি বিভাগ ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস), কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসটিই), ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই), ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিই) ও পরিসংখ্যান যৌথভাবে ৮-৯ নভেম্বর দুদিনব্যাপী কনফারেন্সের আয়োজন করেছে। কনফারেন্সে বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানের ২১৬ জন গবেষক ৪৬টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ইভেন্টগুলোর মধ্যে ছিল টেকনিক্যাল সেশন, কি-নোট সেশন, গ্র্যাজুয়েট ফোরাম। কনফারেন্সে টেকনিক্যাল ট্র্যাকস হিসেবে ছিল এআই অ্যান্ড সফট কম্পিউটিং, স্মার্ট সেন্সিং অ্যান্ড সিকিউরিটি, ইমেজিং অ্যান্ড কম্পিউটার ভিশন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।