বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : মহাকাশে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের নতুন স্পেসক্রাফট। পরীক্ষামূলক এ মহাকাশ যাত্রায় শুরুতেই যাচ্ছে ক্রুরা। তবে পরবর্তীতে স্পেস ট্রাভেলের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে বোয়িং কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার ফ্লোরিডা থেকে এ মহাকাশযান উৎক্ষেপণের কথা রয়েছে।
চলতি সপ্তাহেই সেভেন থ্রি সেভেন ম্যাক্স মডেলের বিমান তৈরি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বোয়িং কর্তৃপক্ষ। দুটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোয়িং। ঘোষণাটি হতাশার হলেও এর একই সপ্তাহে এসেছে আশার খবর। মহাকাশে উৎক্ষেপণের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত প্রতিষ্ঠানটির ‘সিএসটি-হান্ড্রেড’ স্টারলাইনার নামের মহাকাশযানটি। বোয়িং কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ফ্লোরিডার কেপ কানাভেরাল এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে এটি।
রোয়িং বাণিজ্যিক ক্রু প্রোগ্রামের ভাইস প্রেসিডেন্ট জন মুলহোল্যান্ড বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে এ যানের উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। আমাদের টিম অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। আমরা ক্রু ছাড়া মহাকাশযানের পরীক্ষামূলক যাত্রার জন্য প্রস্তুত। যদি সব ঠিক থাকে, আগামী বছরই ক্রুসহ স্পেস ক্রাফটটি মহাকাশে পাঠাব।
এ মহাকাশযান উৎক্ষেপণে সহায়তা করবে ইউনাইটেড লঞ্চ এলায়েন্স আটলাস ভি রকেট। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে এটি শনিবার পৌঁছাবে। সেখানে এক সপ্তাহ থেকে এরপর নিউ মেক্সিকোতে অবতরণের মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে পৌঁছাবে এ মহাকাশযান।
নাসা বাণিজ্যিক ক্রু প্রোগ্রামের ম্যানেজার ক্যাথি লডারাস বলেন, যখন কোনো পরিকল্পনায় অক্লান্ত শ্রম দেয়া হয়, এটা আর স্বপ্ন থাকে না। বাস্তবে ধরা দেয়। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ। আর কয়েকটি ধাপ আছে, যেগুলো শেষ হলেই এ মহাকাশযান মহাকাশের উদ্দেশে রওনা হতে পারবে।
বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশে যান পাঠানোর পরিকল্পনা করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৬৮০ কোটি ডলার দিচ্ছে ন্যাশনাল এরোনোটিক্স অ্যান্ড স্পেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। যেন প্রতিষ্ঠানগুলো রকেট এবং ক্যাপসুল সিস্টেম বানাতে পারে। তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি স্পেস ক্রাফট দিয়ে মহাকাশে মানুষ অভিযানে নিয়ে যেতে পারবে নাসা। স্পেসএক্স এখনো মানুষ নিয়ে মহাকাশে যেতে সক্ষম হয়নি। আর ২০১১ সালেই শাটল প্রকল্প বন্ধ করে দেয় নাসা। বর্তমানে রাশিয়া এ সেবা দিলেও মহাকাশ যাত্রায় প্রতি সিটে গুণতে হবে ৮ কোটি ডলার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।