জুমবাংলা ডেস্ক: নড়াইল জেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃতপ্রায় চিত্রা নদী পুনঃখননে তার জৌলুস ফিরে পেয়েছে। প্রস্থ ও গভীরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর পানির প্রবাহও বেড়েছে। সেই সঙ্গে কৃষি, মৎস্য ও নৌপথে যোগাযোগে ব্যাপক অবদান রাখবে। এ ছাড়াও আর্থসামাজিক উন্নয়নেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। চিত্রা নদী ঘিরে চোখ জুড়ানো সবুজ-শ্যামল ছায়াঘেরা নৈসর্গিক দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে।
নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, দেশের ৬৪ জেলার অভ্যন্তরে ছোট নদী-খাল এবং জলাশয় পুনঃখননে প্রকল্পের আওতায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নড়াইলের মৃতপ্রায় চিত্রার ঘোড়াখালী থেকে গড়েরঘাট পর্যন্ত সাড়ে ১৫ কিলোমিটার অংশ খনন ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। চিত্রা নদী জেলার উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে গড়েরহাট দিয়ে নড়াইল জেলায় প্রবেশ করে। সেখান থেকে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে মাইজপাড়া ও শাহাবাদ ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে ঘোড়াখালীর ত্রিমোহনায় নবগঙ্গা নদীর বিপুল জলরাশির সংস্পর্শে এ নদী দক্ষিণমুখী বয়ে গেছে। এক সময় গড়েরহাট থেকে ঘোড়াখালী পর্যন্ত চিত্রার ভরা যৌবন ছিল। যার প্রভাবে এখানকার কৃষি ও মৎস্য খাতে প্রাচুর্যের পাশাপাশি নদী কেন্দ্রিক দৈনন্দিন নানা কর্মকাণ্ডেও ছিল জৌলুস। কালের পরিক্রমায় উজানের পানিপ্রবাহের স্বল্পতায় এ জনপদের মানুষের আশীর্বাদ ও প্রাণ প্রাচুর্যে পরিপূর্ণ সেই চিত্রা ক্রমে শীর্ণ খালে পরিণত হয়। যা কৃষি নির্ভর এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
দশকের পর দশক চিত্রার হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে কেউ উদ্যোগ নেয়নি। বর্তমান সরকারের উন্নয়নমুখী উদ্যোগে চিত্রা তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেয়েছে, যার মধ্য দিয়ে এখানকার স্থবির আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে উন্নয়ন সূচিত হয়েছে। সেই সঙ্গে ছোট নদীকে ঘিরে এ নদীপারের মানুষ আবার নানা সুখ স্বপ্নের জাল বুনতে শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বলেন, চিত্রা নদী আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার মধ্য দিয়ে নদী পুনঃখননে নেওয়া এ প্রকল্পের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।