জুমবাংলা ডেস্ক : প্রাথমিকে পদোন্নতিতে ‘স্বল্প শিক্ষিত’ সহকারী শিক্ষকদের স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা হয়েছে। ৬৫ শতাংশ প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির জ্যেষ্ঠতার তালিকায় স্থান পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত এইচএসসি পাস ও স্নাতকে তৃতীয় বিভাগ পাওয়া প্রাথমিক শিক্ষকরা। কারণ, নতুন নিয়োগ বিধিমালা অনুসারে সহকারী শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা তালিকা তৈরি করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
ফলে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে জারি হওয়া নতুন এই বিধিমালা এইচএসসি পাস বা তৃতীয় বিভাগ নিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়েছে। তাই, নতুন বিধিমালায় জ্যেষ্ঠতা তালিকায় স্থান পাবেন না বলে মনে করছেন হাজার হাজার এইচএসসি পাস ও স্নাতকে তৃতীয় বিভাগ পাওয়া শিক্ষকরা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসগুলোতে পাঠানো এক নির্দেশনায় বলা হয়, জেলা শিক্ষা অফিসগুলোতে পাঠানো আগের নির্দেশনায় ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের নিয়োগ বিধিমালা অনুসারে সহকারী শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিধিমালা জারির পর আগেরটি রহিত হয়েছে। তাই, নতুন বিধিমালা অনুসারে সহকারী শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা তালিকা প্রস্তুত করতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ এ বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক ৬৫ শতাংশ পদ পদোন্নতির মাধ্যমে এবং ৩৫ শতাংশ পদ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। তবে, প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতিযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সরাসরি নিয়োগ দেয়া যাবে। সহকারী শিক্ষক হিসেবে কমপক্ষে সাত বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতির বিবেচনায় আসবে। আর সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে সরাসরি।
শিক্ষকরা বলছেন, নতুন নিয়োগ বিধিমালা অনুসারে পদোন্নতির জ্যেষ্ঠতার তালিকা তৈরি হলে এইচএসসি পাস এবং স্নাতকে তৃতীয় বিভাগ পাওয়া শিক্ষকরা পদোন্নতি বঞ্চিত হবেন। কারণ, আগের নিয়োগ বিধিমালা অনুসারে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে মেয়েরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ পেতেন। তবে, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে জারি করা নতুন নিয়োগ বিধিমালায় শিক্ষক নিয়োগে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই, নতুন বিধিমালা অনুসারে জ্যেষ্ঠতা তালিকা তৈরি হলে এইচএসসি পাস এবং স্নাতকে তৃতীয় বিভাগ পাওয়া সহকারী শিক্ষকরা জ্যেষ্ঠতা তালিকা স্থান পাবেন না।
সারাদেশের সাড়ে ৬৫ হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে তিন লাখের বেশি সহকারী শিক্ষক কর্মরত আছেন। যাদের ৬০ শতাংশ নারী। এদের অনেকেই আগের বিধিমালা অনুসারে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তাই, নতুন নীতিমালা অনুসারে জ্যেষ্ঠতা তালিকা তৈরি করা হলে হাজার হাজার শিক্ষক পদোন্নতির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন বলে শিক্ষকরা মনে করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।