করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে প্রাথমিকসহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যেই দারুণ সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মায়েদের নগদ অর্থ দেয়া হবে। শিক্ষা উপকরণ ও চলতি বছরের ছয় মাসের উপবৃত্তি বাবদ মোট এক হাজার ৯০০ টাকা রকেট অথবা বিকাশ অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ হিসেবে স্কুলড্রেস, ব্যাগ ও জুতা ক্রয় বাবদ মাথাপিছু এক হাজার টাকা করে দেয়া হবে।
সম্প্রতি বিষয়টি সরকারি অনুমোদনের পরে উপবৃত্তি প্রকল্পের ফেস-৩ (তৃতীয় ধাপে) এ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে অনলাইন ভিত্তিক এই অর্থ প্রদানের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
আরও জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে কিছুটা আর্থিক সহায়তা দিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত উপবৃত্তির অর্থ প্রদান করা হবে। মাসিক ১৫০ টাকা হারে ছয় মাসে মোট ৯০০ টাকা প্রদান করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিপিই মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবারগুলোকে সহায়তা করতে ছয় মাসের উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বাবদ ১ হাজার ৯০০ টাকা মোবাইল নম্বরে পাঠানো হবে। ইতোমধ্যে আমাদের সব প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এ অর্থ শিক্ষার্থীদের মায়েদের মোবাইল নম্বরে বিকাশ বা রকেট অ্যাকাউন্টে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। খুব দ্রুতই এ অর্থ তাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। দুর্যোগকালীন সময়ে এই অর্থ পেলে কিছুটা হলেও শিক্ষার্থীর পরিবারগুলো উপকৃত হবেন বলেও জানান তিনি।
প্রমঙ্গত, ১৯৯৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প চালু করা হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে ২০০৮ সালে ‘প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়)’ গ্রহণ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। দ্বিতীয় পর্যায়ের মেয়াদ ২০১৫ সালের ৩০ জুন শেষ হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তৃতীয় পর্যায় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ পর্যায় প্রথমে এক কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়া হয়। পরবর্তীতে এর সঙ্গে আরও ১০ লাখ শিক্ষার্থী যুক্ত করা হয়। প্রকল্পের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলে আরও দুই বছর সময় বাড়ানো হয়েছিল। এবার সংশোধনীতে আরও বাড়ানো হলো এর মেয়াদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



