জুমবাংলা ডেস্ক : প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদানের সময় কমিয়ে এক শিফটে করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম আল হোসেন। শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় ‘মানসম্মত শিক্ষা, শেখ হাসিনার দীক্ষা’ স্লোগান নিয়ে কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে এক শিক্ষক ও অভিভাবক সমাবেশ তিনি একথা বলেন।
সচিব আরো বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলে থাকতে চায় না। তেমনি শিক্ষকদের মানসিকতাও ঠিক রাখা কঠিন। ক্লাস রুটিন অনুযায়ী, একটা বাচ্চাকে সকাল ৯টায় স্কুলে আসতে হবে। আর যাবে বিকাল সোয়া ৪টায়। এটা তাদের মানসিকভাবে পড়াশোনায় আগ্রহ তৈরিতে বাঁধা দেয়। তিনি বলেন, সকল বিদ্যালয়কে এক শিফট করার পরিকল্পনা চলছে। যেগুলো এক শিফট করা হবে সেগুলো সময়সুচি পরিবর্তন করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ৫ হাজার বিদ্যালয়ে সম্ভব হলে ওই সব প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করা হবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, একটি শিশু বাবা-মার পরে সবচেয়ে বেশি সময় যাদের সাথে ব্যয় করে তারা হলেন শিক্ষক। এ জন্য শিশুদের প্রকৃত বিকাশে শিক্ষকদের দায়িত্ব অনেক। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি বলেন, আপনার সন্তানের যেমন সুশিক্ষার অধিকার রয়েছে। আপনাদের কাছে আসা অন্য শিশুদেরও সে অধিকার রয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন। জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল বাশার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওয়াশীমুল বারী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম ও কমলাপুর পিটিআই সুপার মো. শহিদুজ্জামান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।