বিনোদন ডেস্ক : অবশেষে মিকা সিংকে (Mika Singh) পাওয়ার জন্য সুন্দরীদের লড়াইয়ের অবসান হলো। পাঞ্জাবি গায়কের জীবনে জীবন সঙ্গিনী এনে দেওয়ার জন্য আয়োজন করা হয়েছিল স্বয়ম্বর। যেখানে চূড়ান্ত পর্বে ছিলেন তিনজন ফাইনালিস্ট, নীত মহল, প্রান্তিকা দাস (Prantika Das) এবং আকাঙ্ক্ষা পুরী (Akansha Puri)। প্রান্তিকা এবং নীতকে পেছনে ফেলে দিয়ে মিকার দীর্ঘদিনের বান্ধবী আকাঙ্ক্ষাই শেষমেষ জিতে নিলেন গায়কের মন।
যদিও এই পর্বে ফাইনালিস্ট হওয়ার ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত ছিলেন প্রান্তিকা। এই বাঙালি কন্যে মিকার স্ত্রী হওয়ার জন্য পুরোদস্তুর তৈরি ছিলেন। মিকাকে কলকাতায় এনে মা-বাবা ও পরিবারের সঙ্গে দেখাও করিয়েছিলেন তিনি। কলকাতায় এসে প্রান্তিকার মায়ের হাতে জামাই আদর পেয়েছিলেন মিকা।
যদিও শেষমেষ প্রান্তিকার মায়ের জামাই আদরে মন গললো না মিকার। নিজের চোদ্দ বছরের পুরনো বান্ধবীর গলাতেই মালা পরালেন মিকা। ওয়াইল্ড কার্ডের মাধ্যমে এন্ট্রি নিয়ে আকাঙ্ক্ষাই হলেন ‘মিকা দি বোটি’র বিজয়িনী।
পঞ্জাবি গায়কের ব্যক্তিগত পছন্দের কথা বলতে গিয়ে প্রান্তিকা বলেন, ‘‘মিকাজি প্রথম থেকেই বলে এসেছেন সহজ-সরল মেয়েই তাঁর পছন্দ। বিখ্যাত কাউকে তিনি নিজের জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পেতে চান না। সে দিক থেকে আকাঙ্ক্ষা মোটেই সহজ-সরল নন। এর আগে অনেকের সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। অভিনেত্রী হিসেবেও বেশ পরিচিত মুখ। তাঁকেই জীবনসঙ্গিনী হিসাবে বেছে নিলেন মিকা। এটা কি সঠিক বিচার হয়েছে?’’ প্রান্তিকার ক্ষোভ, ‘‘মিকাজির জীবনে কে ছিল বা আগে কী হয়েছে, সেটা এই শো-তে গুরুত্ব পাওয়ার কথা ছিল না। উনি জীবনসঙ্গিনী খুঁজতেই এই মঞ্চে এসেছিলেন। আকাঙ্ক্ষাকে বিয়ে করতে হলে এই প্রতিযোগিতা বা অনুষ্ঠান যা-ই বলুন, তার কোনও প্রয়োজন ছিল না। আমি একাই কষ্ট পাচ্ছি না। এই শোয়ের বাকি প্রতিযোগীদেরও মন ভেঙে গিয়েছে।’’
উল্লেখ্য, আকাঙ্ক্ষা এবং মিকার সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে এর আগেও গুঞ্জন শুরু হয়েছিল বলিউডে। যদিও সেই সম্পর্ক বেশি দিন টেঁকেনি। তবে এই প্ল্যাটফর্মে আকাঙ্ক্ষাকেই নিজের জীবন সঙ্গিনী হিসেবে পেতে চাইলেন মিকা। আপাতত প্রতিযোগিতার শেষে তারা নিভৃতে সময়ে কাটাতে চান।
চিরবিদায় নিলো শিল্পা শেঠির ‘প্রথম সন্তান’, শোকে যা করলেন বলিউড অভিনেত্রী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।