প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে কে বেশি উপকৃত হন, নারী না পুরুষ?

প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে কে বেশি উপকৃত হন, নারী না পুরুষ?

আলিঙ্গনে কে বেশি উপকৃত হন, নারী না পুরুষ?

লাইফস্টাইল ডেস্ক : ঘরের কাজ, অফিসের কাজ ঠিক সময়মতো করতে গিয়ে বিশ্রাম নেওয়াই হচ্ছে না। রাতে ঘুমও হচ্ছে না। ফলে পরের দিন সকালে আবারও একরাশ ক্লান্তি, কাজে ভুল হওয়া নিয়ে শুরুটা হয়। কর্মব্যস্ত জীবনে মানসিক চাপে ভোগেন কমবেশি সবাই। এ সমস্যা থেকে সবাই খুঁজছেন মুক্তির পথ।

প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে কে বেশি উপকৃত হন, নারী না পুরুষ?

বন্ধু হোক বা প্রিয়জন, পরস্পরের প্রতি স্নেহ ও ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো আলিঙ্গন। হালের সমীক্ষা বলছে, এই আলিঙ্গন শুধুমাত্র আবেগ প্রকাশের মাধ্যমই নয়। এর মাধ্যমে মস্তিষ্ক থেকে এক প্রকার হরমোন নিঃসৃত হয়, যা শারীরিক ও মানসিক বিকাশে নানাভাবে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, মানসিক চাপ কমাতেও নাকি আলিঙ্গনের অনেক অবদান। তবে জার্মান গবেষকদের মতে আলিঙ্গন করলে কেবল নারীদের মানসিক চাপ কমে, এ ক্ষেত্রে পুরুষদের তেমন লাভ হয় না।

৭৬টি দম্পতিকে নিয়ে একটি গবেষণা চালানো হয়। গবেষণার ফলাফল ‘প্লাস ওয়ান’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে দেখা যায়, প্রবল মানসিক চাপ তৈরি হওয়ার পর যদি দম্পতিরা নিজেদের সঙ্গীকে আলিঙ্গন করেন, তা হলে নারীরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হন। তাদের মানসিক চাপ অনেকটাই কমে। পুরুষদের ক্ষেত্রে এ পন্থা ততটা কাজের নয়, এমনটাই মনে করছেন গবেষকরা।

গবেষণায় বলা হয়েছে, সঙ্গীর সঙ্গে আলিঙ্গনবদ্ধ অবস্থায় নারীদের শরীরে অধিক মাত্রায় অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয় এবং কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। যার ফলে মস্তিষ্ক শান্ত থাকে।

সমীক্ষা বলছে, ১০ সেকেন্ড বা তার বেশি সময় ধরে আলিঙ্গন করলে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।গবেষকদের মতে, কেবল আলিঙ্গন করলে পুরুষদের শরীরে অক্সিটোসিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে না। সে কারণেই তারা মানসিক চাপমুক্ত হন না। সূত্র : আনন্দবাজার।