লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রিয়জন কিংবা সঙ্গীর কাছে কিছু দাবি থাকবে এটা খুব স্বাভাবিক। অনেক সময় অনেকেই এমন কিছু আবদার করে বসেন যা সঙ্গীকে বিব্রত অবস্থায় ফেলে দেয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অনেকেই সঙ্গীর কাছে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাসওয়ার্ড চান। এতে সঙ্গী যেমন ব্রিবত হন, তেমনি বিশ্বাসের ঘাটতিও বাড়ে।
ভারতীয় মনোবিদ সাম্রাজ্ঞী সরকার বলছেন, ‘আসলে সামাজিক সম্পর্কে অনেক সূক্ষ্ম ক্ষমতা কাজ করেন। বিশেষ করে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে তো বটেই। আমাদের দুর্ভাগ্য আজও অনেক মানুষ তাদের স্ত্রীকে তার অধীনস্ত মনে করেন।
ভাবেন তাদের কোনো ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া, নিজস্ব স্পেস থাকতে পারে না। ওঠা-বসা সমস্ত কিছুতেই কর্তৃত্ব করে তারা এক ধরনের আনন্দ পান। আর একটা দিক আছে, সেটা হলো অনিশ্চয়তার। বলা ভালো, আত্মবিশ্বাসের অভাব। নিজের সম্পর্কে, বলা ভালো নিজেদের রসায়ন সম্পর্কে কোনো বিশ্বাস না থাকলে মনে সন্দেহপ্রবণতা জন্মায়। এই ধারণা থেকেই এই ধরনের ইচ্ছের জন্ম।’
তিনি বলেন, ‘সম্পর্কে আস্থা রাখুন, পাসওয়ার্ডে নয়। সব থেকে বড় কথা প্রিয়জনের পাসওয়ার্ড জানার ইচ্ছাগুলো নেশার মতো। একবার পাসওয়ার্ড পাওয়া মানে, আপনার ইচ্ছা করবে একটা গোপনীয়তা লঙ্ঘন করি। তখন তার ফোন-ফেসবুক সবটাই নিজের মনে হবে, সব সময় নজরদারি চালানোর প্রবণতাও তৈরি হবে। যা আদৌ কাম্য নয়।’
এই মনোবিদ আরও বলেন, ‘শুনতে খারাপ লাগলেও এ কথা সত্যি। “একজন মানুষ পুরোই আমার”— এই ধারণাটা থেকেও বেরিয়ে আসার সময় এসেছে। সঙ্গী যতটুকু প্রবেশাধিকার দিচ্ছে ততটুকুও কেবল আপনারই, এই বোধটি অর্জন করা।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।