রাজনীতি ডেস্ক: বর্তমানে যেকোনো ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে গুজব বলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কতগুলো প্রশ্ন হলো- গতকাল এক মন্ত্রী বলেছেন যত গুজব রটনা করা হচ্ছে। সব বিএনপি করছে, কারণ দেশে তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই, আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কাছে যে প্রিয়া সাহা মিথ্যা অভিযোগ করলেন, এটা কি মিথ্যা কথা। এটা কি কেউ বলতে পারবেন যে প্রিয়া সাহা এটা ট্রাম্পকে বলে নাই। এটা কে প্রচার করছে? ট্রাম্পের সাথে বাংলাদেশের হিন্দু মহিলার সাক্ষাৎ হয়েছে এটা কি গুজব। প্রিয়া সাহা কীভাবে গেলেন, তিনি যে সম্মেলনে যোগ দিতে গেছেন তার লিডার হলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এটা কি গুজব? এই কথা বলার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রিয়া সাহা মিথ্যাচার করেছেন।
শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ সকল কথা বলেন।
প্রিয়া সাহার বক্তব্যের পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র আছে দাবি করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই ষড়যন্ত্রের পেছনে সরকারেরও হাত থাকতে পারে। কেননা প্রিয়া সাহা যে কথা বলেছিলেন, তিনি নিজে আবার লাইভে এসে ব্যাখ্যা দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীর নাম বলেছেন। প্রিয়া সাহা বলেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীই এই বক্তব্য এত বছর আগে দিয়েছেন। প্রফেসর আবুল বারাকাতের উদ্ধৃতিও দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির যে তথ্য প্রকাশ হয়েছে তা হাস্যকর বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনপ্রিয়তা না থাকার কারণেই ক্ষমতা ধরে রাখতে ভোট ডাকাতি করছে সরকার। তাই প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তথাকথিত সংস্থায় যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তা হাস্যকর।
মোশাররফ বলেন, কয়েকদিন আগে ভাড়া করা একটি বিদেশি সংস্থা দিয়ে বলানো হয়েছে যে শেখ হাসিনার নাকি বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়তা। আগেও তাহলে জনপ্রিয় ছিলেন এত জনপ্রিয়তা থাকলে জনগণকে কেন ভোট দেয়ার সুযোগ দিলেন না। জনগণইতো ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনত। আসলে জনগণকে ভোট দিতে দেবে না কেন, কারণ তারা নিজেরা জানে তারা কত অপ্রিয়। তারা ভালো করে জানে যদি জনগণ ভোট দিতে পারত তাহলে আওয়ামী লীগের কী অবস্থা হতো। সে জন্য লাজ লজ্জা সব ছেড়ে দিয়ে জনগণের সামনে আগের রাতে তারা ভোট ডাকাতি করেছে। জনগণের অধিকার ডাকাতি করেছে।
শেয়ার মার্কেট থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা উধাও হয়ে গেছে, পত্র-পত্রিকায় এসেছে। এটা যখন লিখবেন বলবেন, বলবে এটা বিএনপি গুজব ছড়াচ্ছে। ডেঙ্গু যখন শুরু হলো তখন পত্র-পত্রিকায় লেখা শুরু হলো, তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী-মেয়র সাহেবরা বললেন এসব কিছু না, সামান্য এগুলো অতিরঞ্জিত করে বলা হচ্ছে। কিন্তু প্রথম থেকে যদি এটা গ্রহণ করে প্রতিরোধের ব্যবস্থা করত, তাহলে এ রকম মহামারি আকার ধারণ করত না।
উক্ত অনুষ্ঠানে জিয়া পরিষদের সভাপতি কবির মুরাদ, জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. আব্দুল কুদ্দুস, জিয়া পরিষদের মহাসচিব প্রফেসর ড. মো. এমতাজ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম, কল্যাণ পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শাহিদুর রহমান তামান্না ও বিএনপি নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।সূত্র: বিডি২৪লাইভ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।