স্পোর্টস ডেস্ক : খারাপ সময় যেন পিছু ছাড়ছিলই না। বাদ পড়েছিলেন ওয়ানডে দল থেকেও। তবে টেস্টে পাওয়া আত্মবিশ্বাস লিটন দাস টেনে আনলেন ওয়ানডেতেও। সেঞ্চুরি করেই কাটালেন ব্যাড প্যাঁচ। আর তার শতকেই বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পায় লড়াইয়ের পুঁজি।
প্রতিভা নিয়ে কখনোই ছিল না সন্দেহ। কিন্তু ছিল না ধারাবাহিকতা। ৪৫ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২০ বারই লিটন দাস আউট হন এক অংকের স্কোরে। এ ধারাবাহিকতার অভাবই তাকে ছিটকে দেয় দল থেকে। ২০১৯ বিশ্বকাপ থেকে শুরু, এরপর গত বছর মহামারি শুরুর আগ পর্যন্ত ছিলেন ফর্মের তুঙ্গে। কিন্তু এ বছর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর থেকেই রান খরায় লিটন দাস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা। তিন দলের বিপক্ষে যেন রান করাই ভুলে গিয়েছিলেন লিটন। এই ৮ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ১০১ রান। যেখানে তিন ম্যাচে আউট হন শূন্য রানে। অফ ফর্মের জন্য বাদ পরেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে থেকেও।
তবে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে। ৯৫ রানের দারুন এক ইনিংস খেলেছিলেন লিটন। সেই ফর্মের ধারাবাহিকতায় ওয়ানডেতেও ফিরলেন স্বরূপে।
প্রথম ওয়ানডেতে চার উইকেট হারিয়ে দল বিপদে। কিন্তু লিটন ধীরস্থির। উইকেট বুঝতে সময় নেন কিছুটা। তাকে সঙ্গ দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সে সময় দলের যেটা দরকার, সেই মহামূল্যবান জুটিটা গড়লেন।
ফিফটি পর্যন্ত যেতে ৭৮ বল খেলেন লিটন। কিন্তু এরপরই যেন খোলস ছেড়ে বের হন এই ড্যাশিং ওপেনার। পরের ৫০ পূর্ণ করতে খরচ করেন মাত্র ৩২ বল। ৮ চারে ১১০ বলে পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের ৪র্থ সেঞ্চুরি।
ক্যারিয়ারের চার সেঞ্চুরির তিনটাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। প্রিয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে করা ৪র্থ শতকটা অবশ্য বড় হয়নি। ফিরে যান ১০২ রানে। তবে তা নিয়ে হয়তো খুব একটা আক্ষেপ হবে না। কারণ তার সেঞ্চুরিতেই বাংলাদেশ পায় লড়াকু স্কোর, আর দিন শেষে দলও তুলে নেয় অনায়াস এক জয়। তবে সিরিজের এখনো বাকি অনেকটা। সামনের ম্যাচগুলোতে নিশ্চয়ই লিটনের এই সেঞ্চুরি কাজ করবে টনিক হয়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।