জুমবাংলা ডেস্ক : হবিগঞ্জের বাহুবলে এক কলেজ ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (২ নভেম্বর) দুপুরে থানায় মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতিত কলেজ ছাত্রের মা রাবিয়া খাতুন। মামলায় উপজেলার দ্বিমুড়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আব্দুল হাইয়ের স্ত্রী জাহানারা আক্তার লিপিকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া গ্রামের মূল অভিযুক্ত সালাউদ্দিন (৫২) ও মঈন উদ্দিন (৪০)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দ্বিমুড়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে মাহফুজা আক্তার লিজার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো কলেজ ছাত্র ফয়সল মিয়ার। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে দেখা করার জন্য লিজার বাড়িতে যায় ফয়সল। এসময় তাকে চোর আখ্যা দিয়ে আটক করে লিজার স্বজনরা। পরে খুঁটিতে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় তার ওপর নির্যাতন চলানো হয়। পরদিন শনিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানা পুলিশ ফয়সলকে উদ্ধার করে স্বজনের জিম্মায় দেয়। স্বজনরা তাকে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল ও পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
বাহুবল মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর কবীর মামলা দায়েরের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে, উপজেলার লামাতাসী ইউনিয়নের দ্বিমুড়া গ্রামে কলেজ ছাত্রকে খুঁটিতে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়। পরে, রবিবার (১ নভেম্বর) সকালে, ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন লোক ফয়সল মিয়া নামে ওই কলেজ ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করছে। নির্যাতিত ফয়সল চুনারুঘাট উপজেলার হাসেরগাঁও গ্রামের আহসান উল্ল্যার ছেলে। তিনি হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অনার্স (গণিত বিভাগ) চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।