জুমবাংলা ডেস্ক : অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি আজাদ হোসেন কালুকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে বরিশালের গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কালুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার এসআই কেএম আব্দুল হক জানান, ২০১৬ সালে স্কুল ছাত্রী কবিতা হত্যার পর লিবিয়ায় পালিয়ে যায় আসামি আজাদ হোসেন কালু।
আজাদ হোসেন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ধানডোবা গ্রামের লালমিয়া হাওলাদারের ছেলে।
শনিবার সকালে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরে কালু। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ে কালুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলার বিষয়টি জানতে পারেন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা।
পরবর্তীতে ইমিগ্রেশন থেকে গৌরনদী মডেল থানায় যোগাযোগ করা হলে কালুকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, ওই মামলায় কালুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপরই তার সন্ধানে সেই পরোয়ানা পত্র বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। ঘটনার ৫ বছর পর কালু দেশে ফিরতেই গ্রেপ্তার হল। এখন বাকি আইনি কার্যক্রম আদালতের নির্দেশে পরিচালিত হবে।
২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সকালে গৌরনদীর ১৩ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থীর হাত-পা বাধা মরদেহ স্থানীয় একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ওই স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে একই উপজেলার ধানডোবা গ্রামের আজাদ হোসেন কালুর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এদিকে, মরদেহ উদ্ধারের পর থেকেই ওই কিশোরীকে তার প্রেমিক কালু হত্যা করেছে বলে অভিযোগ তোলেন স্বজনরা। এসময় নিহতের পিতা আইনুল হক বাদি হয়ে গৌরনদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এসব ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল ওই প্রেমিক। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।
