জুমবাংলা ডেস্ক : গার্মেন্টে চাকরির সূত্র ধরে মনিরের সঙ্গে পরিচয়। তরুণীর এই পরিচয় রূপ নেয় প্রেমে। তবে এই প্রেম ‘কাটা’ হয়ে দাঁড়ায় তরুণীর জীবনে। প্রেমের ‘অভিনয়’ করে মনির প্রেমিকার মোবাইল থেকে নিয়ে নেয় বেশকিছু ব্যক্তিগত ছবি।
ছবিগুলো নেওয়ার পর বেরিয়ে আসে প্রেমিক মনিরে প্রতারক চেহারা। ওই ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল শুরু করেন তিনি। ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দাবি করেন মোটা অঙ্কের টাকা। এমন মানসিক অত্যাচারে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওই প্রেমিকা। তবে স্বজনদের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করে পরামর্শ পেয়ে সরে আসের সেই পথ থেকে। এরপর বিষয়টি বগুড়া জেলার পুলিশের ‘সাইবার টিম’ এর কছে অভিযোগ করেন।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ঢাকার সাভার থানার হেমায়েতপুর বড়ারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক প্রেমিক মনির হোসেনকে (২৯) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে চারটি সিম ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার মনির নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মহিষভাঙা গ্রামের রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবির) পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতকে শেরপুর থানায় সোপর্দ করা হয়। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে টাকা দাবি ও পর্নোগ্রাফির অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে। শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ছোনকা দক্ষিণপাড়া গ্রামের ওই তরুণী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বাদি ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কিছু ছবি নেয়। পরে ওই ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে প্রেমিক ছদ্মবেশী ওই প্রতারক। তার অত্যাচার-নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেই। একপর্যায়ে জেলার পুলিশ সুপার স্যারের দ্বারস্থ হয়ে প্রতারকের হাত থেকে রক্ষা পাই।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে বগুড়ায় আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।