আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিচু জাতের ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া। তারপর একদিন মা-বাবার কাছে হাতে নাতে ধরা পড়তেই বাড়ি থেকে চম্পট দিল নাবালিকা। শিকেয় উঠল পড়াশোনা। কিন্তু মাত্র দু’মাসের মধ্যেই হোমে থেকে সেই কিশোরীই ৯৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে চমকে দিল সকলকে।
সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের হায়দরাবাদে। বছর ১৭-র শ্বেতা (প্রতীকী) নামের ওই কিশোরী প্রেমের টানেই ঘর ছেড়েছিল। তাকে উদ্ধার করে হোম নিয়ে যায় তেলঙ্গানা পুলিশ। আর সেখানেই বদলে যায় তার জীবন। পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ায় বর্তমানে গণিতের অধ্যাপক হওয়ার স্বপ্ন দেখছে ওই নাবালিকা।
তেলঙ্গানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শ্বেতাকে উদ্ধারের পর তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করে পরিবার। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে তাকে হোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এতে ভেঙে না পড়ে নতুন করে পড়াশোনা শুরু করে সে। মাত্র দু’মাসেই আসে সাফল্য। চলতি বছরে দ্বাদশের পরীক্ষায় ৯৪৫ পেয়ে কাল্লাম আঞ্জি রেড্ডি ভোকেশনাল জুনিয়র কলেজে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে শ্বেতা।
সংবাদ মাধ্যম Time of India-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হায়দরাবাদের ওই নাবালিকা জানিয়েছে, “বাড়ি থেকে পালিয়ে আসার পর মা-বাবার সঙ্গে কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরীক্ষার ফল ঘোষণার পর আবার নতুন করে কথা শুরু হয়েছে। যখন জানলেন আমি ভালো নম্বর পেয়েছি, তখন তাঁরা খুবই খুশি হন। আমাকে বাড়ি ফিরে যেতে বলেছেন তাঁরা। আমাকে যে বাড়ি ফিরে যেতে বলা হবে, তা কখনও ভাবতে পারিনি।”
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে সরকারি হোমের ছেলে-মেয়েদের পাশের হার সর্বাধিক বলে জানিয়েছে তেলঙ্গানা সরকার। এবার ২৫-র বেশি অনাথ ছেলে-মেয়ে দশম ও দ্বাদশের পরীক্ষায় বসেছিল। তারা প্রত্যেকেই ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করেছে। এই ছেলে-মেয়েদের একটা বড় অংশই উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহী বলে জানা গিয়েছি।
এই অবস্থায় তাদের JEE ও NEET-র প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা করেছে তেলঙ্গানার নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর। সর্বভারতীয় এই পরীক্ষাগুলির মধ্যে শ্বেতাকেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
তেলঙ্গানার নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা মেধাবী ছেলে-মেয়েদের বেছে নিয়ে এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ভেবেছি। অধিকাংশ বিষয়েই শ্বেতা ১০-র মধ্যে ১০ পেয়েছে। তাছাড়া অংক নিয়ে ওর একটা আলাদা ভালোবাসা রয়েছে। সেই জায়গা থেকেই ওকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।” শ্বেতা বাড়ি ফিরে গেলেও ওই প্রশিক্ষণ পেতে পারবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যদিও এখনই বাড়ি ফিরে যেতে রাজি নয় শ্বেতা। “আমি B.com নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই। জীবনে আমাকে আরও এগিয়ে যেতে হবে। যেদিন রোজগার করতে পারব, সেদিনই বাড়ি ফিরে যাব।” সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে শ্বেতা।
সূত্র: এই সময়
আমাজন জঙ্গলে বিমান বিধ্বস্তের ১৭ দিন পর চার শিশু জীবিত উদ্ধার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।