প্রেমের টানে সীমান্ত অতিক্রম করে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে আসা পাকিস্তানি মহিলা সীমা হায়দার তাঁর ভারতীয় স্বামী শচীন মীনার সঙ্গে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। মঙ্গলবার ভোর ৪টায় গ্রেটার নয়ডার কৃষ্ণা হাসপাতালে শিশুটির জন্ম হয়। মা ও মেয়ে উভয়ই সুস্থ আছেন। সীমার আইনজীবী এপি সিং এই খবর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমকে এই খুশির খবর দিতে গিয়ে এপি সিং বলেন, “যাঁরা সীমা এবং শচীনকে ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য এটি আনন্দের মুহূর্ত। আজ সমগ্র দেশ এবং বিশ্বের জন্য একটি আনন্দের মুহূর্ত। কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছে। মা এবং শিশু উভয়েই সম্পূর্ণ সুস্থ। সমস্ত মেডিকেল রিপোর্ট স্বাভাবিক এবং সবকিছু ঠিক আছে।”
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, দম্পতি তাঁদের নবজাতকের নামকরণের সিদ্ধান্ত দেশবাসীর হাতেই তুলে দিয়েছেন। সীমার আইনজীবী বলেন, “আমরা দেশ ও বিশ্বের সকলের কাছে সীমা এবং শচীনের কন্যার জন্য একটি নাম প্রস্তাব করার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের ভারতীয় ঐতিহ্যের উপর ভিত্তি করে তাদের নামের পরামর্শ পাঠাতে করছি। সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত নামটিই বেছে নেওয়া হবে।”
ঢাকায় কাঁকড়া ব্যবসা করবেন ট্রাম্প, ভাতের দোকান খুলবেন ইলন মাস্ক!
চার সন্তানের মা এবং পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বাসিন্দা সীমা ২০২৩ সালে ১৩ মে নেপাল হয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। উত্তরপ্রদেশের ব্যক্তি শচীন মীনার সঙ্গে ২০১৯ সালে অনলাইনে গেম খেলার সময় আলাপ হয় সীমার। শচীনের টানে এই দেশে চলে আসেন তিনি। ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশের কারণে সীমা এবং শচীন শীঘ্রই আইনি তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে দু’জনকেই গ্রেপ্তার করা হয় কিন্তু পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির পর, সীমা হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন এবং শচীনকে বিয়ে করেন। তারপর থেকেই এই দম্পতি সীমার ভারতে থাকার আইনি অধিকার নিশ্চিত করার জন্য লড়াই করে আসছেন। কন্যাসন্তানের জন্মের পর এই দম্পতি তাঁদের জীবনের নতুন এক অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.