আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ার দেওয়ায় প্রকাশ্যে রাস্তায় দিনে দুপুরে আগুন দেওয়া হয়েছে নারী অধ্যাপকের শরীরে। সোমবার সকালে এই ঘটনায় ভারতের মহারাষ্ট্রের ওয়ারধা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গুরুতর আহতঅবস্থায় অগ্নিদগ্ধ নারীকে ওয়ারধার স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় নাগপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওয়ারধা পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে অভিযুক্ত এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার সকাল সাতটা। সপ্তাহের প্রথমদিনের ব্যস্ততা সবেমাত্র শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রের ওয়ারধা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। সেই সময় হিনগাঁও ঘাট এলাকার তুলাসকার কলেজের অধ্যাপক বাস থেকে নামা মাত্রই বিপত্তি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি বাইক থেকে পেট্রল বের করে ওই অধ্যাপকের গায়ে ছুঁড়ে দেয়।
তারপরই আগুন ধরিয়ে দিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দারা কোনওরকমে আগুন নিভিয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশকেও খবর দেয়। সূত্রের খবর, ওই অধ্যাপকের শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। নাগপুরের হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম ভিকি। ওই অধ্যাপিকা ও ভিকি একই গ্রামের বাসিন্দা। ভিকি দীর্ঘদিন ধরে ওই নারীকে প্রেম-প্রস্তাব দিচ্ছিল। কিন্তু ভিকির প্রস্তাবে সাড়া দেননি অধ্যাপিকা। নাছোড়বান্দা ভিকিও। তারপরও বারবার নারীকে বিরক্ত করতে পিছপা হয়নি সে। তাতেও কোনও লাভ হয়নি। ]
শেষপর্যন্ত প্রেমে ‘ব্যর্থ’ হয়ে আগুন দিলো। ভিকির খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।