জুমবাংলা ডেস্ক : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নে ফাতেমা আক্তার মুন্নি (১৯) নামের এক নববধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মো. জিহাদকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে নিহতের মা খায়েরুন নেছা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাতে বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
নিহত ফাতেমা আক্তার মুন্নি নোয়াখালী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড মধুসুদনপুর এলাকার আহসান উল্লাহ মেয়ে। গ্রেফতার জিহাদ ছয়ানী ইউনিয়নের উত্তর নয়নপুর গ্রামের মো. হারুনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের পর চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় জিহাদ ও মুন্নি। বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে থাকত মুন্নি। বিয়ের কিছুদিন পরে একটি অটোরিকশা কিনে দিতে মুন্নিকে চাপ দিতে থাকে জিহাদ। এ নিয়ে মুন্নিকে বেশ কয়েকবার শারীরিক নির্যাতন করেন তিনি। পরে বুধবার (৫ মে) দিবাগত রাতের কোনো একসময় নিজেদের শয়ন কক্ষে মুন্নিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন জিহাদ।
নিহতের মা খায়েরুন নেছা বলেন, সেহরির সময় জিহাদের মা জোসনা বেগম ভাত খাওয়ার জন্য মুন্নিকে ডাকতে গেলে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে বিষয়টি আমাদের মোবাইলে জানান। খবর পেয়ে আমরা ওই বাড়িতে গিয়ে মুন্নির মরদেহ খাটের ওপর দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানাই।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান সিকদার জানান, খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে জিহাদকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত জিহাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে মুন্নিকে শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। শুক্রবার সকালে তাকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।