জুমবাংলা ডেস্ক : পটুয়াখালীতে স্বামী রাকিব ইসলামকে ছুরিকাঘাতে হ ত্যা র পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন স্ত্রী মীম আক্তার।
শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে পটুয়াখালী সদর উপজেলার পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কলাতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাকিব ভোলার লালমোহন উপজেলার ফুলবাগিছিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামে ছেলে ও মীম পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবারিয়া ইউনিয়নের জুয়েল আকনের মেয়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীকে হত্যার পর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করলে ওই নারীকে আটক করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় তার স্বামী মারা গেছেন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের পর ছয় মাস আগে রাকিব ও মীম বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ শুরু হয়। তিন মাস আগে পারিবারিক কলহের জেরে রাকিব তার মাকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। শুক্রবার বিকেলে মীমের সঙ্গে রাকিবের ঝগড়া হলে তা শুনতে পান রাকিবের ছোট ভাই পাভেল। পরে রাকিবের বাবা নজরুল ইসলাম ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইলে মীম ঝগড়ার কথা স্বীকার করেন এবং রাকিব ঘুমিয়ে পড়েছে বলে শ্বশুরকে জানান।
এরপরই বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পটুয়াখালী সদর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন মীম। তিনি থানায় গিয়ে পুলিশকে বলেন, ‘আমার স্বামীকে আমি ছুরি মেরে এসেছি।’ তখন পুলিশ তাকে আটক করে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পায়। পরে পুলিশ বসতঘর থেকে রাকিবের মরদেহ উদ্ধার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমাদ মাঈনুল হাসান বলেন, সন্ধ্যায় মীম নামে এক নারী স্বামীকে হত্যার দায় স্বীকার করে সদর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। আমাদের কাছে বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হলে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য পাঠাই এবং ঘটনার সত্যতা পাই। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।