আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দরজায় কড়া নাড়ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আমেরিকায় নির্বাচন হয়ে থাকে প্রতি চার বছর পরপর এবং সেই বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম সোমবারের পর যে মঙ্গলবার পড়ে – সেদিনই হয় ভোটগ্রহণ। সবসময়ই এভাবেই নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়ে আসছে এবং সেই হিসেবে এবছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৫ নভেম্বর। নির্বাচনের তিন সপ্তাহ আগে টিভি চ্যানেল ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ব্রেট বেয়ার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হ্যারিসকে প্রশ্ন করেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হয়ে কেমন করে দেশ চালাবেন? উত্তরে কমলা জানান, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারলে ‘বাইডেনের নীতিতে’ হাঁটবেন না তিনি।
পুরো সাক্ষাৎকারে বেশ কয়েকবার উঠে এসেছে অভিবাসন নীতি। ব্রেট বারবার অভিবাসনের প্রসঙ্গ তোলেন, বাইডেনের বিকল্প হিসাবে হ্যারিসের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করেন। সেসময় হ্যারিসও আগাগোড়া আক্রমণাত্মক ছিলেন।
হ্যারিস মূলত রিপাবলিকানদের দিকে ঝুঁকে থাকা ভোটদাতাদের প্রভাবিত করতে চেয়েছেন। হ্যারিস একটি প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন তখন ব্রেট কথার মধ্যেই কিছু বলতে যান তখন হ্যারিস বলে ওঠেন, ‘আগে আমাকে অভিবাসন নিয়ে প্রশ্নের জবাব শেষ করতে দিন। আমি কি এই জবাব শেষ করতে পারি?’
আরেকবার হ্যারিস উত্তেজিত তর্ক-বিতর্কের মধ্যে বলেন, ‘আমার মনে হয়, এই আলাপচারিতা যদি তথ্যের ভিত্তিতে হয়, তাহলে ভালো হয়।’
হ্যারিস বারবার ট্রাম্পকে আক্রমণ করতে চেয়েছেন। সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কমলা হ্যারিস এর দায় রিপাবলিকানদের দিকে ঠেলে দেন। কয়েক মাস আগে অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যা সমাধানে দ্বিদলীয় অভিবাসন বিল প্রত্যাখ্যানের প্রসঙ্গ টেনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প সমস্যা সমাধানে নয় বরং সমস্যা তৈরিতে পারদর্শী বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।