বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : নানা উপায়ে শরীরে প্রবেশ করছে প্লাস্টিক। মাইক্রো ও ন্যানো প্লাস্টিক কণায় ভরছে মানবদেহ। আর তা হচ্ছে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের নানা রূপ থেকে। ব্রেন মেডিসিন নামে একটি পত্রিকায় যে গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে তাতে মানুষের মাথাতেই কেবল যে পরিমাণ প্লাস্টিক জমা হচ্ছে তা জানলে যে কারও ঘুম উড়ে যেতে পারে।
গবেষকদের দাবি, মানুষের মাথাতেই জমা হচ্ছে একটি প্লাস্টিকের চামচের সমান প্লাস্টিক। মানে যে পরিমাণ প্লাস্টিক মস্তিষ্কের টিস্যুতে জমা হচ্ছে তা এক করলে একটি প্লাস্টিকের চামচ তৈরি করা যাবে। এতটা পরিমাণ প্লাস্টিক কণা মাথায় জমছে।
যা অচিরেই স্নায়ুরোগের কারণ হতে পারে। এছাড়াও ঘুম না হওয়া বা এমন নানা মস্তিষ্কের ব্যাধির শিকার হবেন মানুষ। মানুষের লিভার বা কিডনিতে যে পরিমাণ প্লাস্টিক কণা জমা হচ্ছে, তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি প্লাস্টিক কণা জমা হচ্ছে শুধু মাথায়।
গবেষকদের আরও দাবি, এটা কিন্তু বহুদিন ধরে জমছে এমনটা নয়। দেখা যাচ্ছে মানব মস্তিষ্কে এই মাইক্রো ও ন্যানো প্লাস্টিকের কণার বাড়বাড়ন্ত হয়েছে গত ৮ বছরে। ২০১৬ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তার আগেও প্লাস্টিক জমা হত। কিন্তু এই হারে নয়।
গবেষকদের আরও দাবি, কেবল প্লাস্টিকের বোতলে জলপান করা বন্ধ করতে পারলেই শরীরে মাইক্রো প্লাস্টিকের প্রবেশ বছরে ৯০ হাজার কণা থেকে কমে ৪ হাজার কণায় চলে আসবে।
দৈনন্দিন জীবনে বহু মানুষই প্লাস্টিকের বোতলে জলপান করেন। যা এই পরিস্থিতির এক অন্যতম কারণ বলেই মনে করছেন গবেষকেরা। শরীরে মাইক্রো প্লাস্টিকের প্রবেশ বন্ধ করতে একা প্লাস্টিকের বোতলে জল পান বন্ধ করাই ফলপ্রসূ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।