বিনোদন ডেস্ক : নিজেকে বেশি আবেদনময়ী করে তুলতে অনেক তারকা প্লাস্টিক সার্জারি করান। তবে অনেকের ক্ষেত্রে ঘটে উল্টো ঘটনা। কৃত্রিমভাবে সুন্দর তো হন না, উল্টো নিজের আসল সৌন্দর্যও হারিয়ে ফেলেন। আবার কারও নতুন চেহারা মনের মতো হয় না। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে আমেরিকার এক মডেলের ক্ষেত্রে।
ক্যান্ডিস ক্লস। মাত্র ২১ বছর বয়সেই এই মডেল নিজের মুখে জনপ্রিয় বিউটি ট্রিটমেন্ট করিয়ে নিজের চেহারা পরিবর্তন করেন। মুখের ফিলারের জন্য গুণে গুণে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। ফলাফল দেখে খুশি হননি তিনি। এখন নিজের নতুন চেহারা পছন্দ নয় তার।
জানা যায়, ক্যান্ডিস ক্লস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের বাসিন্দা। নিজেকে পুতুলের মতো দেখতে চেয়েছিলেন এই মডেল। তবে সৌন্দর্যের প্রতি উন্মত্ততা থাকলেও বুদ্ধিমত্তাতে কিন্তু একেবারেই পিছিয়ে নেই তিনি। ক্যান্ডিসের আইকিউ ১৩৭ এবং তিনি মেনসার সদস্য, যা বেশ জ্ঞানীদের ক্লাব হিসাবে পরিচিত। বুদ্ধিমত্তায় শীর্ষস্থানে থেকেও নিজেকে সুন্দর দেখাতে তিনি রীতিমতো পাগল হয়ে উঠেছিলেন।
যার জন্য বিগত ২ বছরে তিনি মুখে সব ফিলার ব্যবহার করে ফেলেছে। প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা উড়িয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং নকল চেহারা পেয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট হননি। বরং কিছু দিন পর থেকে তার পুরোনো চেহারাকেই মনে পড়তে থাকে। এমনকি এখন তিনি তার সিদ্ধান্তের জন্য অনুতপ্তও বটে।
নিজের বর্তমান চেহারা নিয়ে বিষন্ন ক্যান্ডিস। তিনি এখন স্বাভাবিক হতে চান। ২০২১ সালে তিনি ঠোঁট, গাল ও চোয়ালে ফিলার নিয়েছিলেন, যা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে শেষ করে দিয়েছে। তিনি বুঝতে পেরেছেন যে এই কৃত্রিমতা আসলে তার মুখের ক্ষতি করেছে এবং শিগগিরই তাকে বৃদ্ধ দেখাবে। তাই এখন ক্যান্ডিস তার ফিলার গলিয়ে পুরনো চেহারায় ফিরে আসার চেষ্টা করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।