জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরের সালথায় সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২২ জন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এসময় বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘরে হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায় দুই যুগ ধরে মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সাহিদুজ্জামান সাহিদের সঙ্গে আরেক সহ-সভাপতি ও সাবেক তিনবারের ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হামিদের বিরোধ চলছে। এ বিরোধের জেরে মাঝে মাঝে ওই দুই প্রভাবশালী নেতার সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ায়। বয়সের ভারে সংঘর্ষ ও মামলা থেকে রক্ষা পেতে একপর্যায় পরিবার নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন হামিদ চেয়ারম্যান। তবে মঙ্গলবার বিকেলে পেঁয়াজের জমি দেখতে বাড়িতে আসেন তিনি। খবর পেয়ে সাহিদের সমর্থকরা হামিদের বাড়িতে গিয়ে তার ওপর হামলা করে।
হামলার বিষয়টি জানাজানি হলে এর প্রতিবাদ করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. হারুন মাতুব্বরের সমর্থকরা। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে হামিদ চেয়ারম্যানসহ উভয় দলের অন্তত ২২ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ১২ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।