জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরে একদিনেই রেকর্ড ১০২ জন নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হাজারে প্রবেশ করেছে। গত ১৩ দিনে জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৬৬৫ জন। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০০০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন চারজন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, জেলায় নতুন করে ১০২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ফরিদপুর সদর উপজেলায় ৪৩ জন, নগরকান্দা উপজেলায় তিনজন, সালথা উপজেলায় ১০ জন, সদরপুর উপজেলায় দুইজন, চরভদ্রাসন উপজেলায় একজন, ভাঙ্গা উপজেলায় ১৪ জন, বোয়ালমারী উপজেলায় ১৪ জন, আলফাডাঙ্গা উপজেলায় ছয়জন, মধুখালী উপজেলায় নয়জন আক্রান্ত হয়েছেন।
গতকাল থেকে দেশব্যাপী জোন ভিত্তিক লক ডাউন শুরু হলেও ফরিদপুর জেলা রেড জোনের আওতায় পড়েনি। তবে রেড জোনে না পরলেও জেলার ভাঙ্গা উপজেলার করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় ১৫ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় উপজেলার ঔষধ ও খাবারের দোকান ব্যতিত সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকারও কথা জানান উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার পৌর শহরের করোনা পরিস্থিতি দিনদিন খারাপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ফলে পৌর শহরের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিকাল ৪টার পরিবর্তে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য জনগণকে সতর্ক করার পাশাপাশি আর্থিকভাবে দণ্ড দেয়া হচ্ছে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম রেজা জানান, ফরিদপুর পৌর এলাকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আজকের ৪৩ জন আক্রান্তের ৯০ শতাংশ পৌরসভার বাসিন্দা। এর ফলে বুধবার সকাল থেকে জনগণকে সতর্ক করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি না মানার অভিযান শুরু হবে। এবং অতি দ্রুততার সঙ্গে পৌর এলাকা লকডাউন করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।