ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভ-অবরোধের ঘটনায় ৯০ জনকে নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ।
রোববার রাত ১০টার দিকে ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান মামলা করেন। ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ও আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক মিয়াকে (৬০)। তাকে শনিবার গভীর রাতে নগরকান্দা থানার চাঁদহাট ইউনিয়ন এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ আটক করে। ২ নম্বর আসামি হামিরদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খোকন মিয়া।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ১১ সেপ্টেম্বর সকালে ম ম সিদ্দিক মিয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন আলগী ইউনিয়নের সোয়াদী এলাকায় সমবেত হয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে অবরোধ করেন। তারা বড় বড় গাছ ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং পুলিশের বাধার মুখে মারমুখী হয়ে ওঠে। পরে ধাওয়া করলে তারা সরে যায়।
এর আগে ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদি ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনে সংযুক্ত করার প্রতিবাদে স্থানীয়রা মহাসড়ক ও রেলপথ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অবরোধের ডাক দেন।
রোববার আন্দোলনকারীরা মহাসড়কে দেখা না গেলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, এপিবিএন, র্যাব ও সেনা সদস্য মোতায়েন রাখা হয়েছে। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে টহল টিম মাঠে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেটে ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদি ইউনিয়নকে পাশ্ববর্তী ফরিদপুর-২ আসনে সংযুক্ত করা হয়। এর প্রতিবাদে স্থানীয়রা পূর্বে তিন দফায় মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।