ফল আমদানিতে বর্ধিত শুল্ক তুলে নেওয়ার কোন সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না। এর ফলে ফলের দাম আমদানিকারকদের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে চলে যেতে পারে। কেননা আমদানিকারকরা এত দাম দিয়ে ফল আমদানি করতে পারবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ দেখা দিচ্ছে।
রোজার মাসে বাজারে তা নিয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। জাহাজ থেকে ফল খালাস অব্যাহত থাকলেও ব্যবসায়ীরা আন্দোলনে যেতে পারে। সামনে আসছে রমজান মাস। রোজা শুরু হওয়ার আগেই ফলের বাজার অস্থির হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশ সরকার বিদেশি ফলের উপর ১০% শুল্ক বৃদ্ধি করেছে। গত বছরের সাথে তুলনা করা হলে এবার দাম দিগুনেরও বেশি হয়ে যেতে পারে। এর ফলে ফলের দাম সাধারণ জনগণের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, গত রোজার আগে আপেল ও মাল্টার ডিউটি ছিল ৮০ টাকা এবার তা বেড়ে ১১৮ টাকা হয়েছে। যাতায়াত ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৫০ টাকা। এবার ক্যারেটপ্রতি কমলার পাইকারি মূল্য ৫১০০ টাকা। আর প্রতি কেজি কমলার খুচরা মূল্য ৩৮০ টাকা।
ক্যারেটপ্রতি মাল্টার পাইকারি মূল্য ৩২০০ টাকা। প্রতি কেজি মাল্টার মূল্য ২৫০ টাকা। ক্যারেটপ্রতি আপেলের পাইকারি মূল্য ৫১০০ টাকা। আর খুচরা মূল্য ৩০০ টাকা। এবার ক্যারেটপ্রতি আঙ্গুরের পাইকারি মূল্য ৫৩০০ টাকা। আর খুচরা মূল্য ৩০০ টাকা।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুট ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠিনক সম্পাদক মোহাম্মদ তৌহিদুল আলম বলেন, বৈঠকে যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে স্থগিত হয় আন্দোলন। তবে দাবি না মানলে আবারও আন্দোলনে নামবে ব্যবসায়ীরা।
এদিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপ পরিচালক ড. মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, রোজায় চাহিদার কাছাকাছি পরিমাণের ফল এরইমধ্যে দেশে চলে এসেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।