আমাদের দেশে আপেল ও আঙ্গুরের মতো ফল এখন বিলাসী পণ্য হিসেবে দেখা হয়। এ কারণে বারবার আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে এসব ফলের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরের চলে গেছে। মধ্যবিত্ত মানুষ এখন ফল ক্রয় করে খেতে পারে না।
এজন্য বাজারে আপেল ও আঙ্গুরের মতো ফলের বিক্রি তেমন নেই। রমজান মাসকে নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে ফলের ব্যবসায়ীরা। যারা রমজান মাসে ফল বিক্রি করে ইনকাম করতে চায় তারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এসব ব্যবসায়ীরা মনে করে যে, সরকারের শুল্ক কমানো উচিত।
আমাদের দেশে রমজান মাসে সব ধরনের ফলের বেশ চাহিদা থাকে। তবে এবার শুল্ক বৃদ্ধি করাতে চাহিদা কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেক ফলের দাম কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এক কেজিতে আপেল ক্রয় করতে হলে আপনাকে ৪০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
রাজধানীর এক বিক্রেতা বলেন, ‘পাইকারি থেকে কেনার পর ১০ টাকা ২০ টাকা লাভে বিক্রি করি। ওইদিকে দাম বাড়লে আমাদেরও দাম বেশি রাখতে হয়। এখন মানুষ ফল অনেক কম নিচ্ছে। সরকার যদি ট্যাক্সটা কমায় দেয় তাহলে ফল বিক্রি করে চলতে পারব।’
ফল আমদানিকারকদের সংগঠনের দাবি, বাজারে বিক্রি হওয়া ফলের ৬৫ শতাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করা। ২০২১-২২ অর্থবছরে আপেল, কমলা, আঙুর, নাশপাতির মতো ফল আমদানিতে শুল্ক ছিল ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। তিন বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৬ দশমিক ২০ শতাংশে। অতিরিক্ত শুল্ক ও লোকসানের শঙ্কায় ফল আমদানিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ফল এখন সাধারণ মানুষ কিনতে পারছে না। আমরা যদি ১০০ টাকার ফল ইমপোর্ট করি, সেটাতে কিন্তু আমার রাজস্ব দিতে হচ্ছে, ট্যাক্স দিতে হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। কাজেই ফল মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। আমাদের বেচা কেনাও কমে গেছে।’
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যমতে, বিশ্বের ২২টি দেশ থেকে ৩৮ ধরনের ফল আমদানি করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশই আপেল, মাল্টা, কমলা, আঙুর ও আনার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।