জুমবাংলা ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জের আড়িয়াল বিলে চলছে ধান কাটার মহোৎসব। দেশের বৃহত্তর এই বিলে এবার ৫ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়েছে। তবে কৃষকের অভিযোগ, শ্রমিক সংকট আর কমবাইন্ড হারভেস্টার মেশিন সিন্ডিকেটে ধান ঘরে তুলতে বেড়েছে ব্যয়।
ব্যাপক খরা সত্ত্বেও দেশের ধান উৎপাদনের অন্যতম বৃহত্তর এ বিলের সোনার ধানে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ধান কাটার পর মাড়াই, ঝাড়াই, ধান সিদ্ধ, রোদে শুকানো, বস্তাবন্দি আর বাজারজাতসহ গোটা এলাকাজুড়ে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। তবে কৃষকের অভিযোগ শ্রমিক সংকট আর কমবাইন্ড হারভেস্টার মেশিন সিন্ডিকেটে ধান ঘরে তুলতে ব্যয় বেড়েছে। আর ভাঙাচোরা রাস্তা ও খালের নাব্য সংকট এবং সরকারি ক্রয় কেন্দ্র না থাকায় কৃষক ধানের দর পাচ্ছেন কম।
কৃষকরা জানায়, কমবাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের জন্য সরকার ভর্তুকি দিলেও সেসব তাদের কাছে পৌঁছায় না। সিন্ডিকেটরা সব হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া ধান বিক্রির কেন্দ্র না থাকায় সিন্ডিকেটের হাতে তারা জিম্মি হয়ে আছেন।
শ্রীনগরের গাদিঘাট সড়ক সংস্কার, বিলের খাল খনন এবং পদ্মার সঙ্গে বিলের পানি প্রবাহ চালু করা জরুরি।
এ বিষয়ে শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান জিঠু বলেন, ‘শুকনা মৌসুমে বৃষ্টি না হলে একটা খালের পানি দিয়ে বিশাল বিলের সেচ দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সুতরাং এ খালটি আরও গভীর করা প্রয়োজন।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক শান্তনা রাণী পুতুল বলেন, ‘সরকার ধানের মূল্য নির্ধারণ করেন পরে, এরমাঝে ধান কেটে সংরক্ষণ করতে হয়। কিন্তু সংরক্ষণের জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে সিন্ডিকেটের কাছে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে।’
এ বছর এখানে ধানের উৎপাদন খরচ পড়েছে গড়ে মণ প্রতি ৮০০ থেকে সাড়ে ৮০০ টাকা। আর জমিতেই তা বিক্রি হচ্ছে ৯৪০ টাকা দরে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, আড়িয়াল বিলে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে ২০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি ধান উৎপাদন হয়েছে। সে ধান ঘরে তুলতেই কৃষকের ব্যস্ততা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।