জুমবাংলা ডেস্ক : আড়িপাতা প্রতিরোধে নিশ্চয়তা ও ফাঁস হওয়া ঘটনাগুলোর তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। ১০ জন আইনজীবী রিট আবেদনটি দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার তাদের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি দায়ের করেন। রিটে সরকারের সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের শুনানি হবে।
রিট আবেদনে ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ফাঁস হওয়া ২০টি আড়িপাতার ঘটনা উল্লেখ করা হয়। এসব ঘটনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সংলাপ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ফোনালাপ, বিএনপি’র প্রয়াত নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবং রাজশাহী মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার নাজমুল হাসানের ফোনালাপ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের ফোনালাপ, সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের ফোনালাপের কথা উল্লেখ রয়েছে। রিটে বলা হয়েছে, সর্বজনীন মানবাধিকার সনদপত্র, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী পৃথিবীর সকল আধুনিক ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার স্বীকৃত ও সংরক্ষিত।
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। বাংলাদেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সংরক্ষণ নিশ্চিত করা।
রিট আবেদনকারী আইনজীবীরা হলেন- মুস্তাফিজুর রহমান, রেজওয়ানা ফেরদৌস, উত্তম কুমার বণিক, শাহ নাবিলা কাশফী, ফরহাদ আহমেদ সিদ্দিকী, মোহাম্মদ নওয়াব আলী, মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল, জি এম মুজাহিদুর রহমান, ইমরুল কায়েস এবং একরামুল কবির।
২০১৯ সালের ২৮শে আগস্ট হাইকোর্টের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চের দেয়া রায়ে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণও রিট আবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, এ ক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ও সেবাপ্রদানকারী কোম্পানিগুলোর দায়িত্ব সর্বাধিক। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ তাদের দায়িত্ব। তারা আইনের বিধান ব্যতিরেকে ব্যক্তিগত যোগাযোগের তথ্য প্রদান করতে পারে না।
রিট আবেদনে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩০ (১) (চ) ধারা এবং সংবিধানের ৩৯ ও ৪৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল চাওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।