বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : আগামী বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবার (ফাইভ-জি) তরঙ্গ বরাদ্দের নিলাম ডেকেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এই নিলামে দেশের চারটি মোবাইল ফোন কোম্পানিই অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র।
সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, ‘আমরা বিধি অনুযায়ী অতি উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা বা ফাইভ-জি চালুর লক্ষ্যে এই নিলামের ব্যবস্থা করেছি। নিলামে অংশ নিতে অপারেটরগুলো ইতোমধ্যে টাকা জমা দিয়েছে। রাজধানীর একটি হোটেল এই নিলামের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে শুধু ফাইভ-জি নয়, ফোর-জি সেবার মান বাড়াতেও কোনো কোনো অপারেটর বাড়তি তরঙ্গ কেনার চিন্তা করছে।’
এর আগে, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ফাইভ-জি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। অনুষ্ঠানে তিনি ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। ফাইভ-জি উদ্বোধন করায় অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘শিগগিরই বাণিজ্যিকভাবে দেশে ফাইভ-জি চালু করা হবে।’
এর মাধ্যমে দেশ ফাইভ-জি’র যুগে প্রবেশ করে। রাষ্ট্রয়ত্ত্ব মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের হাত ধরে বাংলাদেশে আনা হয় ফাইভ-জি। ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করতে টেলিটককে সহায়তা করছে হুয়াওয়ে ও নকিয়া। প্রথমে ছয়টি এলাকায় সীমিত পরিসরে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালু করা হয়।
জানা গেছে, নিলামে প্রতি মেগাহাটর্জ স্পেকট্রামের ফ্লোর প্রাইস বা বেইজ প্রাইস থাকছে ৬ মিলিয়ন ডলার, টাকার হিসাবে যা ৫১ কোটি ৯০ লাখের একটু বেশি। এতে স্পেকট্রাম ক্রয়কারীদের জন্য ফাইভজি সেবা চালু করতে ৬ মাসের তরঙ্গ রোলআউট অবলিগেশন দেয়া হয়েছে। নিলামের দিন হতে এই সময় ধরা হবে।
মোট ১৮ ব্লকে হবে স্পেকট্রাম নিলাম। এরমধ্যে ২ দশমিক ৩ গিগাহার্টজ বা ২৩০০-২৪০০ মেগাহার্টজে ৬টি ব্লক এবং ২ দশমিক ৬ গিগাহার্টজে বা ২৫০০-২৬৯০ মেগাহার্টজে ১২টি ব্লক রয়েছে। ২৩০০-২৪০০ মেগাহার্টজে প্রতি ব্লকে ১০ মেগাহার্টজ করে স্পেকট্রাম নিলাম হবে। ২৫০০-২৬৯০ মেগাহার্টজেও প্রতি ব্লকে ১০ মেগাহার্টজ করে স্পেকট্রাম উঠবে।
উল্লেখ্য, প্রথমে ছয়টি এলাকায় সীমিত পরিসরে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালু করা হয়। রাষ্ট্রীয় মোবাইল ফোন অপারেটর সংস্থা টেলিটক রাজধানীর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমন্ডি ৩২, বাংলাদেশ সচিবালয়, সংসদ ভবন এবং সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা ও টুঙ্গিপাড়ায় ফাইভজি কভারেজের আওতায় আনছে। এছাড়া কিছু আইসিটি ও মোবাইল মেলায় ফাইভজি চালানোর ব্যবস্থা করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।