জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর শাহজাদপুরে সৌদিয়া আবাসিক হোটেলে আগুন লাগা ভবনটিতে ফায়ার এক্সিট ব্যবস্থা ছিল না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোনের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরের দিকে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
তিনি জানান, আগুন লাগা ভবনটিতে ফায়ার এক্সিটের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এছাড়া রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভবন কোড মেনে সেটি তৈরি করা হয়নি। ভেতরের গ্লাসগুলো ফিক্সড হওয়ায় ধোঁয়া বাইরে বেরোতে পারিনি। ফলে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ওই চারজন মারা যান।
কাজী নজমুজ্জামান বলেন, নিহতদের মধ্যে তিনজন ছাদ পর্যন্ত চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু ছাদের দরজা বন্ধ থাকায় আর বেরুতে পারেননি, সেখানেই তারা প্রাণ হারায়। আরেকজন ছিলেন তৃতীয় তলার বাথরুমে, সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৪ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. তারেক মাহমুদ। তিনি জানান, মেডিকেল রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে মামলা দায়ের করা হবে। ফলে পরে সিদ্ধান্ত হবে যে মামলাটি হত্যা মামলা হবে, নাকি অপমৃত্যুর। তবে এ ঘটনায় কারও গাফেলতি পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে সোমবার দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটের দিকে ভাটার থানার সৌদিয়া হোটেলের ৬ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে খবর পেয়ে দুপুর ১২টা ৩১ মিনিটের দিকে বারিধারা ফায়ার স্টেশনের ২ ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে দুপুর ১টা ৪ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলে ভবনটিতে তল্লাশি চালিয়ে ৬ তলা থেকে ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের সবাই পুরুষ। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, নিহতদের লাশ ৬ তলায় পাওয়া গেছে। এরমধ্যে একটি মরদেহ বাথরুমের ভেতরে এবং অপর তিনটি সিঁড়ির গোড়ায় পাওয়া গেছে। ওই সময় সিঁড়ির দরজা তালা মারা অবস্থায় পাওয়া যায় বলেও জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।