জুমবাংলা ডেস্ক : ফারাক্কা বাঁধের সবকটি গেট খুলে দেয়ায় পানি বেড়েছে দেশের বিভিন্ন নদীতে। রাজশাহীতে বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও ছুঁই ছুঁই করছে পদ্মার পানি। চরাঞ্চলে দুর্ভোগে অন্তত দুই হাজার পরিবার। বাঘা উপজেলার চরাঞ্চলে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ১১টি স্কুল। তবে পাবনা ও কুষ্টিয়ার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার উপরে বইছে পদ্মার পানি।
নিজ দেশে বন্যা ঠেকাতে ফারাক্কা বাঁধের ১১৯টি গেটই খুলে দিয়েছে ভারত। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশে।
রাজশাহীতে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে পদ্মার পানি। বাঘা উপজেলায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ১১টি স্কুল। পানিবন্দি হয়েছে অন্তত দুই হাজার পরিবার।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে, বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে পদ্মার নদীর পানি। চরাঞ্চলে পানি ঢোকায় দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। একই অব্স্থা রাজবাড়ীর নিচু এলাকায়।
আশ্বিনের বন্যায় তলিয়েছে বসতভিটা। মাথাগোঁজার ঠাই যতটুকু আছে তাতেই গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ১০ হাজার পরিবারকে।
একে ভারত থেকে আসা পানি, তার উপর গেল দুদিনের বৃষ্টি, এই কষ্ট বাড়িয়েছে কয়েকগুন। ১৫’শ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে এ এলাকার মানুষ।
এলাকাবাসী জানান, অতিকষ্টে আছি। খাওয়া-দাওয়া খুব কষ্ট। একবার রান্না করে তিনবার খেতে হয়। হাজার হাজার বিধা জমি তলিয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, যে হারে পানি বাড়ছে, তাতে কুষ্টিয়ার অন্য এলাকাও প্লাবিত হতে পারে। মঙ্গলবার দুর্গত এলাকায় আড়াই হাজার পারিবারে ত্রাণ দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।
সংসদ সদস্য আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশা বলেন, ‘সরকারের সাহায্য ছাড়াও আমরা আমাদের নিজস্ব উদ্যেগে যতটুকু করা সম্ভব আমরা চেষ্টা করছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।