গুঞ্জনটা বেশ কদিন আগেরই বলা চলে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সভাপতির পদে রদবদল আসতে পারে এমন আভাস ছিল। তবে বুধবার রাতের পর থেকে সেটা যেন আচমকাই গতি পেল। বৃহস্পতিবার সকালেই জানা গেল, আগের দিন রাতে সরকারের একেবারে শীর্ষপর্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ফারুক আহমেদ।
সেখানেই মূলত গতি পেয়েছে পদত্যাগ ইস্যু। গেল বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ফারুক আহমেদকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। এরপরেই অবশ্য ফারুক বিতর্কের মুখে পড়েছেন। বিপিএল ইস্যু, আর্থিক লেনদেনসহ বিভিন্ন সময়ে নানা সমালোচনা হয়েছে ফারুক আহমেদকে নিয়ে।
এরই প্রেক্ষিতে গুঞ্জন, বিসিবি সভাপতি পদে সাবেক এই ক্রিকেটারকে আর দেখতে চায় না যুক ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এমনকি এই সংক্রান্ত বার্তা খোদ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা থেকে এসেছে, এমন কথাও চাউর হয়েছে ক্রিকেটপাড়ায়।
তবে এসবই দেশের ক্রিকেটের জন্য একপ্রকার অশনিসংকেত। সরকারি সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ফারুক আহমেদ পদত্যাগ করলে সেখান থেকে আসতে পারে আইসিসি নিষেধাজ্ঞা। আইসিসির নিয়মের কারণে বিসিবিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারবে না সরকার।
সরকারি হস্তক্ষেপ এড়াতে বিসিবির পুরো পরিচালনা পরিষদকে হতে হয় নির্বাচিত। তবে সেখানেও আছে আইন সুযোগ নেয়ার পরিস্থিতি। ফারুক এনএসসি মনোনীত পরিচালক হওয়ায় সে মনোনয়নে এনএসসির পরিবর্তন আনতে পারে। তবে তিনি এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নির্বাচিত সভাপতি। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে সরকার ফারুককে সরিয়ে দিতে পারবে না– সেটা অনেকটাই নিশ্চিত।
সে রকম কোনো সিদ্ধান্ত সংকটে ফেলতে পারে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে। আইসিসি এসব ইস্যুতে বরাবরই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসেছে এর আগে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটকে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা কাটাতে হয়েছিল। বাংলাদেশ সেই পথে হাঁটতে চাইবে না নিশ্চিত।
নতুন করে সভাপতি হিসেবে সবার আগে উঠে আসছে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নাম। তবে তিনি আইসিসিতে চাকরি করায় তিনি বিসিবির নির্বাচনে কখনোই সম্পৃক্ত ছিলেন না। বিসিবিতে আনতে হলে কাউন্সিলর পরিচালক সবই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে করতে হবে। ফারুক জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হিসেবে কাউন্সিলর থাকলেও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাকে পরিচালক মনোনীত করেছে। এরপর পরিচালকরা সভাপতি নির্বাচিত করেছে।
ফারুকের পদত্যাগ এবং বুলবুলের নিয়োগের এই সরকারের হস্তক্ষেপ হলেও বিসিবির গঠনতন্ত্রে অনুমোদিত এবং সেটা আইসিসি থেকেও স্বীকৃত। কিন্তু পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে হবে সমঝোতা এবং ধারাবাহিকতার ভিত্তিতে। নয়ত, হিতে বিপরীত হয়ে নিষিদ্ধ হতে পারে বাংলাদেশের ক্রিকেট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।