স্পোর্টস ডেস্ক : ফিক্সিং ইস্যুতে জড়িয়ে যেতে পারেন বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান-এমন ইঙ্গিত ক’দিন আগেই গণমাধ্যমে দিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। নিশ্চিত করে সেদিন কিছু না বললেও, সেটিই সত্যি হতে যাচ্ছে। এমন খবরে টালমাটাল গোটা দেশ। পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। বিক্ষুব্ধ সমর্থকদের অনেকেই দুষছেন বিসিবি প্রধানকে, অনেকে ডাক দিচ্ছেন আন্দোলনেরও।
ক’দিন ধরে দেশের ক্রিকেটে কালবৈশাখীর থাবা। ঝড় তুলেছিলেন সাকিব, সেই ঝড়ের সবশেষ নামটাও হতে যাচ্ছে সাকিব আল হাসান। কদিন আগে যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন সেখানে বলেছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিং বন্ধ করতে হবে। ফিক্সিং সংক্রান্ত বিষয়েই এবার জড়ালো নন্দিত অলরাউন্ডারের নাম।
ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন বছর দুয়েক আগে। সাকিব তাতে সাড়া দেননি। তবে কাউকে সেটি জানানওনি। ভুলটা সেখানেই। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটের বিধি অনুযায়ী শাস্তি যে পেতে যাচ্ছেন সাকিব সেটি জানতেন তিনি। জানতো বিসিবিও। ক্রিকেটারদের আন্দোলনে ক্ষুব্ধ বিসিবি প্রধান ক’দিন আগে সংবাদ সম্মেলনে সে ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন।
পাপন বলেন, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের খবর খুব শিগগিরই আসবে। আসতেছে।
বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করতে চায়নি কোনো পক্ষই। বছর দুয়েক আগের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টাও হয়েছে নানাভাবে। তারপরও আড়ালে রাখা যায়নি। নানাভাবে চলে এসেছে আলোচনায় টেবিলে। আন্দোলন নিয়ে এমনিতেই টালমাটাল গোটা ক্রিকেট গোষ্ঠী দোষটা চাপাতে চায় বিসিবির কাঁধে।
আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পেতে যাচ্ছেন সাকিব, এমন খবর ছড়ানোর পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উত্তাল। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের পক্ষ নিচ্ছেন সবাই। অনেকেই দুষছেন বিসিবি সভাপতিকে। চাইছেন তার পদত্যাগ।
কেউ কেউ ডাক দিচ্ছেন আন্দোলনেরও। এতদিন পর কেন এ খবর ছড়ালো সে প্রশ্ন করছেন অনেক সমর্থক। ভারত সফরের আগেই এমন খবর বের হওয়ায় আইসিসিকেও দুষছেন অনেকে।
ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে নানা মত, পক্ষ-বিপক্ষ থাকবেই। তবে যে ঝড় বইছে, শক্ত হাতে সেটি না সামলালে বড় ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে দেশের ক্রিকেটই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।