আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় চলমান ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্র আন্দোলন আরও নতুন নতুন দেশে ছড়িয়েছে। গত ১৭ এপ্রিল নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও। খবর এএফপির
যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা পেরিয়ে মার্কিন ক্যাম্পাসভিত্তি এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, কানাডাসহ বিশ্বের আরও অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও। লন্ডন, প্যারিস ও রোম থেকে সিডনি, টোকিও, বৈরুতসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি একটাই- ‘গাজায় গণহত্যা বন্ধ হোক’। পাশাপাশি ইসরায়েল ও গাজা যুদ্ধকে সমর্থন করে, এমন সব কোম্পানির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি তোলা হচ্ছে।
জার্মানির বিক্ষোভে পুলিশের হস্তক্ষেপ
গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার জার্মানির বার্লিনের হামবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তবে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, অন্য জায়গায় ক্যাম্প করতে বিক্ষোভকারীরা অস্বীকৃতি জানান। এরপরই পুলিশ বেশ কিছু বিক্ষোভকারীকে জোর করে সরিয়ে দেয়। সেখান থেকে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।
বার্লিনের মেয়র কাই ওয়েগনার এই বিক্ষোভের সমালোচনা করেছেন। তিনি এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেছেন, এই শহর (বার্লিন) যুক্তরাষ্ট্র বা ফ্রান্সের মতো ঘটনা দেখতে চায় না।
আয়ারল্যান্ডেও সংহতি প্রকাশ
আয়ারল্যান্ডের ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিনের শিক্ষার্থীরা শুক্রবার ইসরায়েলবিরোধী অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। তারা তাদের এই প্রতিবাদী কর্মসূচিকে ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতি হিসেবে বর্ণনা করেন।
সুইজারল্যান্ডে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি
সুইজারল্যান্ডের লুসান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনের প্রবেশদ্বার বৃহস্পতিবার থেকে দখল করে আছেন প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী। বিক্ষোভরত এসব শিক্ষার্থী ইসরায়েলকে একাডেমিক বয়কট এবং গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছেন। তাদের শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচি সোমবার পর্যন্ত চলবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।