আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের আক্রমণ নিয়ে অত্যন্ত কড়া মনোভাব দেখিয়েছেন এর্দোয়ান। হামাস বনাম ইসরায়েলের লড়াইয়ে পুরোপুরি ইসরাইলকে দায়ী করে তিনি খুবই কঠোর বিবৃতি দিয়েছেন। তারপরই আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানিয়েছেন, ”এর্দোয়ানের সাম্প্রতিক ইহুদি-বিদ্বেষী মনোভাবের কড়া নিন্দা করছে আমেরিকা।” খবর এএফপি ও রয়টার্সের।
নেড প্রাইস বলেছেন, ”আমরা প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানের কাছে আবেদন করছি যে, তিনি যেন এই ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টিকারী মন্তব্য না করেন।”
এর্দোয়ান কী বলেছেন
এর্দোয়ান বলেছিলেন, ”ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছে ইসরায়েল। ওরা খুনি। ওরা পাঁচ, ছয় বছরের বাচ্চাদের খুন করে। ওরা রক্ত চুষে একমাত্র সন্তুষ্ট হয়।”
এর্দোয়ান বরাবরই ফিলিস্তিনের কট্টর সমর্থক। তিনি এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেও ছাড়েননি। তিনি বলেছেন, ”বাইডেনের হাতেও রক্ত লেগে আছে, কারণ, তিনি ইসলরায়েলকে সমর্থন করছেন।”
আমেরিকা-তুরস্ক সম্পর্কে প্রভাব
আমেরিকা ও তুরস্কের মধ্যে এই অভিযেোগ-পাল্টা অভিযোগের প্রভাব দুই দেশের সম্পর্কে পড়তেই পারে।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাইডেন নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এর্দোয়ান একজন স্বৈরাচারী শাসক। তিনি তুরস্ক নিয়ে কড়া নীতি নিয়ে চলার কথাও জানিয়েছিলেন।
গতমাসে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। ১৯১৫ থেকে ১৯১৭-র মধ্যে অটোমান সাম্রাজ্যের সময় বহু আর্মেনিয়ানকে হত্যার ঘটনাকে গণহত্যা বলে চিহ্নিত করেছেন।
আগামী মাসে ব্রাসেলসে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের সময় বাইডেন ও এর্দোয়ানের বৈঠক হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।