জুমবাংলা ডেস্ক : ফিলিস্তিনে-ইসরায়েলের হামলা বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই যুদ্ধ বন্ধ করুন। অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন। যুদ্ধ মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শেখ রাসেল ও স্মার্ট বাংলাদেশ পদক প্রদান এবং শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বিশ্বে একের পর এক যুদ্ধ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এখন আবার প্যালেস্টাইনের ওপর আক্রমণ করছে ইসরাইল। এই যুদ্ধের ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারী ও শিশু। যুদ্ধের ফলে শিশু হারায় বাবা-মা, বাবা-মা হারায় সন্তানদের। দুপক্ষেরই শিশু নিহত হয়েছে। গতকাল দেখলাম হাসপাতালে আক্রমণ হয়েছে। সেখানেও শিশু মারা গেছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নের ব্যয় হোক। যুদ্ধ চাই না, কারণ যুদ্ধ ধ্বংস করে। আমরা শান্তি চাই।
শেখ রাসেলকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার ছোট্ট রাসেলের মতো আর যেন কাউকে জীবন না দিতে হয়, এটাই আমি চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা যখন বন্দি ছিলাম, একবার চেষ্টা করেছে ভেতরে এসে আমাদের ওপর হামলা করতে। একটা ছোট্ট তার আমাদের বাঁচিয়ে দেয়। একটা কাপড় ঝোলানোর তারের সঙ্গে লেগে সে অফিসার পড়ে যায়, পরে সে ফিরে যায়। পরে কর্নেল অশোক আসে। সেদিনটি ছিল ১৮ তারিখ।
শিশুদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আজ তোমরা যারা শিশু এখানে আছ, বাবা-মার কথা শুনবে। ঠিকমতো লেখাপড়া করবে। লেখাপড়া ছাড়া মানুষ বড় হতে পারে না। আমাদের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে এই আকাঙ্ক্ষা থাকবে, আমরা লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হবো। বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াব।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলকের সভাপতিত্বে ও ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন রনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সচিব সামসুল আরেফিন, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ শরাফাত, সাংগঠনিক সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ‘স্মরণের আবরণে শেখ রাসেল’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে রাসেলের স্মৃতি নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল (অব.) অশোক কুমার তারা’র ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়।
আজ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন। ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ড থেকে সেদিন রেহাই পাননি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ১০ বছর বয়সী শেখ রাসেলও।
শিশু রাসেলের জীবন সম্পর্কে শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরতে তার জন্মদিনকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে তৃতীয়বারের মতো পালন করতে যাওয়া এবারের শেখ রাসেল দিবসের প্রতিপাদ্য—‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’।
বিএনপির সমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।