স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বরাবরই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী থাকে। ইতিহাস সেটাই বলে। কারণ, কাতার বিশ্বকাপের আগে এখন পর্যন্ত চারবার সেমিফাইনাল খেলেছে আর্জেন্টিনা। যেখানে একবারও হারেনি তারা।
আসরের ফাইনাল নিশ্চিত করতে আগামী মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। ম্যাচে নামার আগে সেমিফাইনালের পরিসংখ্যান কথা বলছে মেসিদের পক্ষেই।
কাতার বিশ্বকাপের আগে এখন পর্যন্ত চারবার সেমিফাইনাল খেলেছে আর্জেন্টিনা। যেখানে একবারও হারের মুখ দেখতে হয়নি তাদের। বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম আসর ১৯৩০ সালে সেমিফাইনালে খেলে আর্জেন্টিনা। এর পর ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে, ১৯৯০ সালের ইতালি বিশ্বকাপে এবং ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপে। মাঝে ১৯৭৮ বিশ্বকাপে শিরোপা জিতলেও সেবার ফরম্যাটটি ছিল ভিন্ন রকমের।
আর্জেন্টিনায় হওয়া ১৯৭৮ বিশ্বকাপে প্রথমে ১৬টা দল ৪ গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলে। সেই চার গ্রুপের ৮ দল আবার দ্বিতীয় রাউন্ডে দুই গ্রুপে ভাগ হয়। এই দুই গ্রুপের সেরা দুই দল খেলেছে ফাইনাল। যেখানে জয় তুলে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় আর্জেন্টিনা।
১৯৩০ বিশ্বকাপে শুরুর আসরেই ফাইনাল খেলে আর্জেন্টিনা। সেবার ফাইনালে ওঠতে যুক্তরাষ্ট্রকে ৬-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা। তবে শেষটা রাঙাতে পারেনি আলবিসেলেস্তেরা। ফাইনাল জিতে বিশ্বকাপের প্রথম আসরের শিরোপা নিজেদের করে নেয় উরুগুয়ে।
এর পর দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ১৯৮৬ সালে আবারও সেমিফাইনালে পা রাখে আর্জেন্টিনা। যেখানে বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা। আর ডিয়েগো ম্যারাডোনার নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতে দ্বিতীয় শিরোপার স্বাদ পায় আর্জেন্টিনা।
১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে সালে ফের ইতালিকে সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখে আর্জেন্টিনা। তবে ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করতে হয় তাদের। এর পর দীর্ঘ বিরতি দিয়ে মেসির নেতৃত্বে ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা। সেমিফাইনালে তারা হারায় নেদারল্যান্ডসকে। তবে আবারও ফাইনালে সেই জার্মান বাধার মুখে পড়ে মেসির দল। সে বাধা টপকাতে পারেনি মেসিরা।
কাতার বিশ্বকাপে আবারও সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট দল ক্রোয়েশিয়া। তবে ম্যাচের আগে পরিসংখ্যান থেকে সাহসী হতে পারেন মেসিরা। এখন দেখার পালা সেমিফাইনাল জিতে মেসিরা সেই পরিসংখ্যানটাকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারে কিনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।