জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিখোঁজের আড়াই মাস পর অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার(২৯ জুলাই) বিকালে মেয়েটিকে নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা থেকে উদ্ধার করা হয়।
অপহরণ ও শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মেয়েটির আপন ফুপা মানিক খানকে (৩০) গ্রেফতার করে আজ মঙ্গলবার টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষার জন্যও টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার রাতে মেয়েটির মা অপহরণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে সখীপুর থানায় মামলা করেন। গ্রেফতারকৃত মানিক খান নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার গোহালাকান্দা গ্রামের সোবহান খানের ছেলে। মানিক বছর তিনেক আগে গাজীপুরে পোশাক কারখানায় চাকরি করার সময় ওই মেয়েটির ফুপুকে বিয়ে করে।
এ ব্যাপারে সখীপুর থানার এসআই ওমর ফারুক জানান, গত ১৪ মে ওই স্কুলছাত্রী সখীপুর উপজেলার গ্রামের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। কয়েক দিন খোঁজাখুঁজি করে মেয়েকে না পেয়ে মেয়ের মা সখীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সেই জিডির সূত্র ধরে পুলিশ নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা থেকে ওই মেয়েকে উদ্ধার করে।
ওই স্কুলছাত্রী জানান, ‘লোকটি আমার ফুপা হয়। আমাকে নিয়ে যাওয়ার প্রথম ১৫ দিন আমি কীভাবে কোথায় গিয়েছিলাম এসব আমার মনে পড়ছে না। মনে হয় আমাকে যাদুটোনা (তাবিজ-কবজ) করে নিয়েছিল। এইটুকু আমার মনে আছে যে, মাস দুয়েক আগে একজন হুজুর আমাদের বিয়ে পড়ান। ফুপাকে কেন বিয়ে করলে- এ ধরনের প্রশ্নে মেয়েটি জানান, আমি এগুলো কিছুই বুঝতে পারি নি।’
মানিক খান জানান, আমি অপহরণ ও ধর্ষণ কিছুই করিনি। মেয়ের ইচ্ছেতে তাকে নিয়ে নেত্রকোণা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করেছি। মেয়েটির ফুপু আমার চেয়ে ১০ বছরের বড় থাকায় দাম্পত্য জীবনে আমরা সুখী ছিলাম না।
সখীপুর থানার ওসি আমির হোসেন বলেন, মেয়েটির মা মানিক খানের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেছে। মানিককে আজ মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।