জুমবাংলা ডেস্ক : স্ত্রীর দায়েরকৃত যৌতুক মামলার মাথায় নিয়েই আত্মীয়তার সুবাদে অন্যের স্ত্রীকে নগদ টাকা ও গহনাসহ ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুর সালথা উপজেলার গট্টী ইউপির ঠ্যানঠেনিয়ার ভবুকদিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় স্ত্রী ও ওই যুবকের বিরুদ্ধে ফরিদপুর জজ কোর্টের ৬ নম্বর আমমি আদালতে মাম;লা দায়ের করেছেন স্বামী। অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরুণ বাশারের আদালত মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বি;রুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর গ্রামের নয়ন সিকদারের ছেলে মো. সুজন সিকদারের সঙ্গে নগরকান্দার ভবুকদিয়া গ্রামের মান্নান মোল্লার মেয়ে লাভলী আক্তার সুমাইয়ার ৮ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। গত ২৬ মে স্ত্রী সুমাইয়াকে নিয়ে পালিয়ে যায় সদর উপজেলার কানাইপুর ইউপির শোলাকুন্ডু গ্রামের কলিমদ্দিন শেখের ছেলে মো. আলামিন শেখ। আলামিনের ৩ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। এ ঘটনার পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন স্বামী সুজন শিকদার।
সুজন শিকদারের অভিযোগ, আসামি আলামিন তাদের আত্মীয় হওয়ার সুবাদে বাড়িতে যাতায়াত ছিলো। এ সুযোগে স্ত্রী সুমাইয়াকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত ২৬ মে স্ত্রী সুমাইয়াকে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে ভাগিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘরের আলমারিতে রাখা তার কষ্টার্জিত ৩ লাখ টাকা ও ২ ভরি গহনাও নিয়ে যায় সুমাইয়া।
তিনি বলেন, বিয়ের পর স্ত্রী সুমাইয়াকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ভবুকদিয়া গ্রামে বসবাস করতেন তিনি। মাঝখানে কিছুদিন কাতারে প্রবাসী ছিলেন। দেশে ফিরে এসে ফরিদপুর শহরে একটি রডের কোম্পানিতে ফোরম্যানের কাজ করেন তিনি।
স্ত্রী সুমাইয়া গত কয়েক মাস ধরে মোবাইলে একটি ছেলের সঙ্গে কথা বলতো গোপনে জানিয়ে সুজন বলেন, গত রোজার মধ্যে স্ত্রীর সম্পর্কের বিষয়ে হাতেনাতে ধরে শ্বশুরকে বিষয়টি জানাই। তখন স্ত্রী ওই ছেলের সঙ্গে কথা বলবে না বলে জানায়।
এদিকে, বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর তিনি ও তার শ্বশুর মান্নান মোল্লা আলামিনের বাড়িতে যেয়ে সুমাইয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তবে তারা ওই বাড়িতে যাওয়ার আগেই আলামীন ও সুমাইয়া ওই বাড়ি থেকে সটকে পড়েন।
তিনি জানান, স্ত্রী সুমাইয়াকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন তিনি। ৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের কোনো সন্তান না হলেও ভালোবাসা দিয়ে ভরণপোষণে কোনো কমতি রাখেননি তিনি।
মেয়ের বাবা মান্নান মোল্লা বলেন, মেয়েকে ফিরে পেতে চাই। আলামিনের পরিবারকে বারবার অনুরোধ করেছি। তারা কোনো প্রকার সহযোগিতা করছে না।
ছেলের বড় ভাই দুলাল শেখ বলেন, আমার সৎ ভাই আলামিনকে ৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাকে বিয়ে দেই। তাদের ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। তবে আলামিনের সেই স্ত্রীর করা নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মামলা নারী ও শিশু কোর্টে চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে সে অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে। আমার ভাইকে অনুরোধ করেছি সুজনের স্ত্রীকে ফিরিয়ে দিয়ে আসতে।
সুজনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম স্টালিন বলেন, সুজন ও সুমাইয়া এখনো তারা স্বামী-স্ত্রী। এদিকে আলামিনও বিবাহিত। তার বিরুদ্ধে নারী শিশু আদালতে তার স্ত্রীর দায়ের করা নি;র্যা;তন মা;ম;লা চলমান রয়েছে। এমন অবস্থায় আলামিন সুজনে;র স্ত্রী সুমাইয়াকে নিয়ে পালি;য়ে যায়। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে মা;মলাটি গ্রহণ করে আলামীন ও সুমাইয়ার বি;রুদ্ধে সমন জারি করেছেন। তবে আলামীন ও সুমাইয়া পলাতক থাকায় তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।