স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে লেমুয়ার শেখ মুজিবুল হক উচ্চ বিদ্যালয় পূর্ব নির্ধারিত যুবলীগের ৩টি ওয়ার্ডের কর্মীসভা ছিল। স্থানীয় চেয়ারম্যান মোশারফ উদ্দিন নাসিমের সমর্থক শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে তার প্রতিপক্ষ সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান তালুকদার ও সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী দাউদুল ইসলাম গ্রুপের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বেশ কয়েকজন ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, করোনাকালীন স্থানীয় চেয়ারম্যান নাসিমের বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ জানায় নেতাকর্মীরা। তারই জেরে তার কর্মীদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করা হয়। এছাড়াও আগামী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের প্রতিপক্ষ ভেবে এ হামলা বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোশারফ উদ্দিন নাসিমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে উল্টো তার অনুসারীদের ওপর হামলা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ইকবাল হোসেন বলেন, আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং তাদের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি যুবলীগের জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সুশেন চন্দ্র শীল জানান, লেমুয়া আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগের মধ্যে সমস্যা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। তারই জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। যারা এ হামলার সাথে জড়িত তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো আলমগীর হোসেন জানান, লেমুয়ায় হামলার ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনও এ ঘটনায় কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।