জুমবাংলা ডেস্ক : ভয়াবহ বন্যায় ফেনীতে ৯০ শতাংশ মোবাইল নেটওয়ার্কের টাওয়ার কাজ করছে না। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার ফলে টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এই জেলার প্রায় সব এলাকা। এতে উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ তৎপরতা চালাতেও হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকরা।
এদিকে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভি-স্যাট ব্যবহারসহ বিকল্প উপায়ে প্রচেষ্টা চালানোর পরও মোবাইল টাওয়ারগুলো সচল করা সম্ভব হয়নি।
বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বন্যার কারণে ১২ জেলায় মোবাইল টাওয়ার বা সাইট অচল হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। জেলাগুলো হলো নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও রাঙ্গামাটি।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল ৯টার তথ্যানুযায়ী, বন্যায় দেশের ১২টি জেলার ১ হাজার ৮০৭টি মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে গেছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতের রিপোর্ট অনুযায়ী ১২ জেলায় ২ হাজার ২৫টি মোবাইল টাওয়ার অচলের তথ্য জানিয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। সেই হিসাবে বিশেষ ব্যবস্থায় ২১৭টি টাওয়ার সচল করা সম্ভব হয়েছে।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ফেনীতে থাকা ৬৫৬টি মোবাইল টাওয়ারের মধ্যে এখন অচল ৫৯০টি। সচল আছে মাত্র ৬৬টি। সেগুলো কতক্ষণ সচল রাখা সম্ভব হবে, তা নিয়ে শঙ্কায় অপারেটররা।
বিটিআরসির সবশেষ তথ্যমতে, নোয়াখালীর ৩৮০টি, কুমিল্লার ৫৩৩, লক্ষ্মীপুর ৫৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৩, চাঁদপুর ৪৭, চট্টগ্রাম ৭৫, খাগড়াছড়ি ৩৬, মৌলভীবাজার ৩৯, সুনামগঞ্জ ১১, রাঙ্গামাটি ১৭ এবং হবিগঞ্জে দুটি মোবাইল টাওয়ার এখন অচল।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১০টি ভি-স্যাট প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। সেগুলোর মধ্যে পাঁচটি ফেনী জেলার প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে। ভি-স্যাটগুলো ব্যবহার করে টেলিযোগাযোগ সেবা সচল রাখার যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এদিকে, বন্যার মধ্যে টেলিযোগাযোগ সেবা সচল রাখতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে বিটিআরসি।
সংস্থাটি বলছে, এই পরিস্থিতিতে ১৫ জনের ইমার্জেন্সি রেসপন্স দল গঠন করা হয়েছে। যারা দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন।
বিটিআরসির ইমার্জেন্সি রেসপন্স দলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে +৮৮০২২২২২১৭১৫২ নম্বরে ফোন করতে হবে। বিটিআরসির কল সেন্টার ১০০ ব্যবহার করেও ওই দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।