জুমবাংলা ডেস্ক : ফেনী নদীর পানি নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। এতে ওই নদী থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পানি সরবরাহ ও পাম্প বসানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হতে পারে।
সূত্র জানায়, রিট আবেদনে মন্ত্রী পরিষদ, পররাষ্ট্র ও পানি সম্পদ সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। ফেনী নদীর পানি বিষয়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তি করা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট আবেদন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এই রিট আবেদন করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘ভারতকে পানি দিতে কোনো সমস্যা নেই। তবে পানি তোলা ও বিতরণের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতে রাখার জন্যই রিট আবেদন করা হয়েছে।’
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যে ফেনী নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক পানি দিতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু পত্রপত্রিকায় দেখছি, ২০১০ সাল থেকেই ভারত ৩৪টি স্থান দিয়ে অবৈধভাবে ৩০-৩৪ কিউসেক পানি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। চুক্তির আগেই এভাবে তারা অবৈধভাবে পানি নিচ্ছে। চুক্তি হবার পর পানি উত্তোলন ও পাম্পের ওপর বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ না থাকলে ভারত তাদের ইচ্ছামাফিক পানি তুলে নেবে।
রিট আবেদনে ভারত-বাংলাদেশের ছিটমহল নিয়ে ১৯৮২ সালে কলকাতা হাইকোর্ট ও পরবর্তীতে দিল্লির সুপ্রিম কোর্টের রায়ের নজির তুলে ধরে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে বলা হয়েছে, ১৯৭৪ সালে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি হয়। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট ওই চুক্তির ওপর হস্তক্ষেপ করে। পরবর্তীতে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ছিটমহল বিনিময়ের অনুমোদন দেয়।
এরপর ছিটমহল বিনিময় হয়েছে। ভারত তার স্বার্থে এটা করেছে। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টও এধরণের চুক্তির বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।