স্পোর্টস ডেস্ক : আবারও আলোচনায় আইপিএল নিলামের সেই সুন্দরী কাব্য মরান। সানরাইজার্স হায়দারাবাদের হয়ে নিলামে সবার মন কাড়েন তিনি। গুগলে তাকে নিয়ে সার্চের সংখ্যা শাহরুখ কন্যা সুহানাকেও ছাড়িয়ে যায়। আবারও আলোচনায় সেই সুন্দরী কাব্য মরান। এবার আলোচনায় আসলেন তার দলের সহকারী কোচ সাইমন ক্যাটিচের পদত্যাগের কারণে।
জানা গেছে, আইপিএল নিলাম থেকে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ যে দল গঠন করেছে অনেকেই মনে করছিলেন প্রতিপক্ষদের ভালোই বেগ দিতে পারে এই দল। যদিও সেই দল গঠন নিয়েই প্রবল অসন্তোষের জেরে প্রতিবাদে সহকারী কোচের পদ থেকেই সরে দাঁড়ালেন সাইমন ক্যাটিচ। অস্ট্রেলিয়ার এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনই দাবি করা হয়েছে। যার জেরে আইপিএল শুরুর আগেই আলোচনার জন্ম দিল সানরাইজার্স হায়দারাবাদ।
বিগত আইপিএলে চরম ব্যর্থতার জেরে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ দলকে এবার ঢেলে সাজানো হয়েছে। ডিরেক্টর অব কোচ টম মুডির সঙ্গে ব্রায়ান লারা, সাইমন ক্যাটিচদের কোচিং স্টাফ হিসেবে নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন এই ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্ণধাররা। ৮৯.৯ কোটি টাকা খরচ করে সানরাইজার্স ২৩ জনের দল গঠন করেছে, যদিও একেকটি দল সর্বাধিক ২৫ জন করে ক্রিকেটার রাখতে পারে। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, আবদুল সামাদ ও উমরান মালিককে ধরে রেখে নিলাম থেকে আরও ২০ জন ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছে সানরাইজার্স। যদিও দল গঠন যে ঠিক হয়নি তা রাখঢাক না করেই কর্ণধারদের জানিয়ে দেন ক্যাটিচ। এরপর নিজেই সরে দাঁড়ালেন সহকারী কোচের পদ থেকে। ক্যাটিচ আরসিবির হেড কোচ হওয়ার আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সহকারী কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন।
যদিও জানা গেছে, সানরাইজার্স হায়দারাবাদের সিইও তথা কর্ণধারের-কন্যা কাব্য মরানই আইপিএল নিলামে বেশিরভাগ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেখানে কার্যত দর্শকের ভূমিকায় থাকতে হয়েছিল ব্রায়ান লারা, সাইমন ক্যাটিচ, এমনকি টম মুডিকেও। নিলামের আগে যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল দল গঠন নিয়ে তা ভণ্ডুল হতেই প্রবল অসন্তুষ্ট হন ক্যাটিচ।
উল্লেখ্য, গতবারের আইপিএল চলাকালীন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী দলের তারকা ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে যে ব্যবহার করেছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি তা অনেকেই ভালোভাবে নেয়নি। কোচ ট্রেভর বেলিস, ব্র্যাড হ্যাডিনদের সরিয়ে কোচিং স্টাফে আনা হয়েছিল লারা, ক্যাটিচদের। ন্যাশনাল ক্রিকেট আকাডেমির ডিরেক্টর হওয়ায় ভিভিএস লক্ষ্মণকেও সরে যেতে হয়েছে।
ওয়ার্নারের অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া, তাকে বসিয়ে দেওয়ার পিছনে কারণ হিসেবে দলের ভারসাম্যের কথা জানানো হয়েছিল সানরাইজার্সের পক্ষ থেকে। তবে মুডির কথাতেও বোঝা গিয়েছিল এই সিদ্ধান্ত হজম করতে তারও অসুবিধা রয়েছে।
ডেল স্টেইন আরেক ধাপ এগিয়ে দাবি করেছিলেন, ওয়ার্নারকে নিয়ে জনসমক্ষে যা জানানো হচ্ছে, তার চেয়ে পর্দার পিছনে অনেক বেশি কিছুই ঘটছে। টি-২০ বিশ্বকাপে দূরন্ত ফর্মে থাকা ওয়ার্নারকে নিতে নিলামে আগ্রহ দেখায়নি সানরাইজার্স। তারপরই ক্যাটিচের এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই অস্বস্তিতে ফেলল হায়দারাবাদের ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। সূত্র: ডেইলি টেলিগ্রাফ, ডেইলি ইন্ডিয়া, রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড, ওয়ান ইন্ডিয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।